ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বিধবা চাতাল কন্যার ছেলে সিরাজুল ইসলামঃ-
দারিদ্রতা তাকে দমাতে পারেনি। চেষ্টা ও অধ্যাবসায় থাকলে কোন বাঁধা যে বাধাঁই নয় তার প্রমান করেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের দরিদ্র দিন মজুরের বিধবা মায়ের সন্তান সিরাজুল ইসলাম। ভুরুঙ্গামারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জি,পি,এ -৫ পেয়েছে সে। সিরাজুল ইসলাম ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় তার পিতা পনির উদ্দিন মারা যায় ।তার মা সাজেদা বেগম কখনও চাতালে,কখনও মাটি কাটার কাজ ও অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ সহ রাজমিস্ত্রীর জোগালী বা সহযোগীর কাজ করে এবং ৩০০ টাকা মাসে বিধবা ভাতা পান।এই দিয়ে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাত। বর্তমানে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।
সিরাজুল ৩ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। বড় ভাই দিনমজুর বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। একমাত্র বোনটিরও বিয়ে হয়েছে।
সিরাজুল এস এস সি পরীক্ষায় ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জি,পি,এ-৫ পেয়েছিলো।সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
দিনমজুর ও মৎস্যজীবির ছেলে শামীম হোসেনঃ-
দারিদ্রতা তাকে দমাতে পারেনি। চেষ্টা ও অধ্যাবসায় থাকলে কোন বাঁধা যে বাধাঁই নয় তার প্রমান করেছেন উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাটগোপালপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর ও মৎস্যজীবি মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন। ভুরুঙ্গামারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জি,পি,এ -৫ পেয়েছে সে। শামীমেরা ২ ভাই ১ বোন। বড় ভাই কুড়িগ্রাম সরকারী কলেঝে লেখা পড়া করছে।ছোট বোন ৫ম শ্রেণীতে পড়ছে। তার মা গৃহিনী। তাদের সামান্য বাড়ির ভিটে ছাড়া কোন আবাদী জমি নাই। তার পিতা মোসলেম উদ্দিন নদীতে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায় । শামীম তিলাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএইচসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিল। শামীম লেখাপড়া শেষ করে চিকিৎসক হতে চায়।
সাংবাদিকের ছেলে ফাহিম মুন্তাসির ফুয়াদঃ
চেষ্টা আর অধ্যবসায় থাকলে কোন বাঁধাই সাফল্যে আটকাতে পারেনা তা প্রমান করলেন ফাহিম মুন্তাসির ফুয়াদ । ফুয়াদ চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। ভুরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টুর জ্যেষ্ঠ পুত্র। তার মা ফাতেমা বেগম একজন আদর্শ গৃহিনী। ফুয়াদেরা ২ ভাই। ছোট ভাই মুহিত ৫ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। ফুয়াদ ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ফুয়াদ লেখাপড়া শেষ করে প্রকৌশলী হতে চায়। সে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।