download
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সহপাঠিকে মারপিটের দৃশ্য ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় নির্যাতনকারিদের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা হয়েছে।নির্যাতনের শিকার শামীমের অভিযোগের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও থানায় মামলা করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি মেহেদী হাসানকে ঢাকায় আটকের পর পুলিশ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও থানায় নিয়ে আসে।

এর আগে শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিটের নির্যাতনের শিকার ছাত্র শামীম সরকার বাদী হয়ে সহপাঠী মেহেদী হাসান, শশি জিৎ রায়, মেজ বাউল হাসান দুর্জয়, আবুল কালাম আজাদ, মাজহারুল ইসলাম, আবু হানিফা, রাশেদুজ্জামান রাশেদ, আব্দুল জলিলকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালে ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় সহপাঠী মেহেদী ও শশী জিৎ জরুরি কথা আছে বলে কলেজের নিচতলার ড্রয়িং রুমে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর সেখানে থাকা অন্য সহপাঠীরা কাঠ ও ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যারও হুমকি দেয়। তাদের অমানসিক নির্যাতনে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মেহেদী শামীমকে দলীয় ক্রীড়া সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতির জন্য তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও প্রাণনাশের হুমকির মুখে শামীম বিষয়টি চেপে যায়।

অবশেষে গত ২৪ মার্চ শামীমকে নির্যাতনের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হলে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।

নির্যাতনের শিকার শামীমের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায়।তিনি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ফুড প্রসেসিং বিষয়ে লেখাপড়াকালে এ ঘটনা ঘটে।।

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি মশিউর রহমান জানান, মেহেদী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *