ঢাকা অফিসঃ
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ সোমবার এক বিবৃতিতে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, পবিত্র রমজানের শেষে ঈদ-উল-ফিতর যখন সমাগত ঠিক তখনই পবিত্র রমাজানের মাঝে গুলশানে হত্যাকান্ড ঈ- আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। পবিত্র রমাজান মাসে যারা ইসলামের কথা বলে এ ধরনের নির্মম হত্যাকান্ড চালায় তারা আর যাই হোকে ইসলামের অনুসারী হতে পারে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে দলমত নির্বিশেষে জাতিকে ঐকবদ্ধ হতে হবে। এর পূর্বেও আমাদের দল বহুবার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার কথা বললেও শাসকগোষ্টি কখনো তা কর্ণপাত করেনি। শাসকগোষ্টি জাতীয় স্বার্থের চাইতে দলীয় ও গোষ্টিগত স্বার্থকেই প্রাধাণ্য দিয়েছে। আর যার পরিনত হচ্ছে সা¤্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রকারীরা রাঝনেতিক বিভক্তি সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্টির জন্ম দিচ্ছে। দেশের প্রধান দুই নেত্রী জাতীয় ঐক্যের কথা বললেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যেও আহ্বান’-কে প্রত্যাক্ষান করে সরকারী দল সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রকেই প্রকারান্তরে সহযোগিতা করছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত দলের আদর্শবহনকারী বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আর কোন বিভেদ আর বিভাজন নয়। প্রয়োজন কার্যকর ও অর্থবহ জাতীয় ঐক্য। মনে রাখতে হবে জাতীয় নিরাপত্তা সবার জন্য অপরিহার্য। দেশ সকলের।
তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র এবং গণতন্ত্রেও স্বার্থে এখনই প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। দলবাজী বা দলীয়করণের সময় এটা নয়। এখন সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলীয়করণের চিন্তা থেকে মুক্ত হতে হবে। জাতীয় ঐক্য কার্যকর করতে লাগবে জনগণের ঐক্য। এ ব্যাপারে কার কী সমস্যা আছে তা নিয়ে ভাবতে হবে, মতবিনিময় করতে হবে। কেন, কী কারণে দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কৌশল নিতে হবে। কারণ, জনগণ ক্ষমতার মালিক।