মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি :
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক অনলাইন ব্রিফিংয়ের তথ্য অনুসারে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার দেশে ১ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করে। একই সাথে আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারির প্রথম ডোজ করোনা টিকা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করে। তারই ধারাবাহিকতায় সমগ্র দেশের ন্যায় ঝালকাঠি জেলার সকল উপজেলাধীন সকল ইউনিয়নে তিনটি টিকাদান কেন্দ্রর মাধ্যমে আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি টিকা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ”আতংক নয় সচেতন হই স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলি ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহারের সভাপতিত্বে ২২ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, সিভিল সার্জন ডাক্তার শিহাব উদ্দিন শিহাব।
উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মঈন তালুকদার ,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, ঝালকাঠি পৌর প্যানেল মেয়র বাবু তরুণ কুমার কর্মকার। এছাডাও ঝালকাঠি সদরের ১০ টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবগন, ইউপি মেম্বার এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়্রা সাংবাদিকবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী তার বক্তব্যে বলেন, ঝালকাঠি জেলায় ১২ বছর বয়স থেকে এখনো পর্যন্ত যারা টিকা নেয়নি তাদের সকলকে টিকার আওতায় আনতে হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের খোঁজ নিবেন। এবং যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদেরকে টিকা নিতে অবহিত করুন। এবং আগামী ২৬ শে ফেব্রæয়ারি সবাইকে টিকা কেন্দ্রে আসার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে নিজ নিজ টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, সরকার সবাইকে টিকার আওতায় আনার জন্য একযোগে এক কোটি মানুষকে টিকা দিবে ,ঝালকাঠি জেলায় কোন মানুষ যেন টিকা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়াও ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন শিহাব তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় ১২বছর বয়স ঊর্ধে এখনো যারা টিকা নেয়নি তাদের সবাইকে টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন আমরা সবাইকে টিকা দিতে প্রস্তুত।

উক্ত সভায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রিফাত আহমেদ ঝালকাঠিতে করোনা টিকার প্রদানের পূর্বের কার্যক্রম তুলে ধরেন। একই সাথে জেলার ৪টি উপজেলায় মোট জনসংখ্যার মধ্যে ঝালকাঠি সদর ৫৭% রাজাপুর ৫৯% কাঠালিযা ৫১% ও নলছিটি উপজেলার ৫৪% ভাগ জনগন করনো টিকা গ্রহন করেছে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *