মনজুরুল ইসলাম,সম্পাদক এশিয়ান বাংলা নিউজ:
এক সময়ের হিন্দু প্রধান এই অঞ্চলের সর্বত্র মন্দির তীর্থস্থানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে জনপদ,ব্যবসা বানিজ্য চিকিৎসালয়,মেলা পার্বন।তৎকালীন সমাজের উন্নয়ন ও জনসেবার ধারক বাহক ছিল এসব অগনিত মন্দির ও তীর্থ স্থান।
এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকশত বছর পুর্বে উত্তর বঙ্গের প্রানকেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত তৎকালীন রঙ্গপুর জেলার কুড়িগ্রাম মহকুমার সোনাহাট প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গয়বাড়ি পরগনার অন্তর্গত ঐতিহাসিক সোনাহাট প্রাচীন কালী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই। ভারত উপমহাদেশের বাংলা ও আসাম রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন স্থান হিসাবে বিবেচিত সোনাহাট কালী মন্দিরের নিকটেই ছিল বৃটিশ ভারতের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক সোনাহাট রেলওয়ে জংশন।
বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি মৌজায় অবস্থিত ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ২শত মিটার দুরে ,সোনাহাট বিজিবি সীমান্ত ফাড়ি ও ভারতের বিএসএফ সীমান্ত ফাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে আন্তর্জাতিক পিলার নং ১০০৮ ও S এবং 4S পিলার সংলগ্ন ঐতিহাসিক কালের স্বাক্ষী সোনাহাট প্রাচীন কালী মন্দিরের অবস্থান।
মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয় আনুমানিক ১৮০০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে। তৎকালীন প্রজাবৎসল ধার্মিক জমিদার ও বণিক শ্রী ভীকিমচান্দ মাড়োয়ারী আজ থেকে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বছর পুর্বে স্বপ্নাদেষ্ট হয়ে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। জানাগেছে শ্রী ভীকিমচান্দ মাড়োয়ারী কর্তৃক দানকৃত ১ একর ৪২ শতাংশ জমি কালীমন্দিরের নামে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসাবে দান করে গেলেও মাত্র ৮ শতাংশ জমি মন্দিরের নামে আর অবশিষ্ট জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল কর্তৃক বেদখলকৃত।
ধর্ম ও জনসেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এর দেবোত্তর সম্পত্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ঐতিহাসিক সোনাহাট বন্দর। তৎকালীন বৃটিশ ভারতে ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে এই বন্দরের ব্যবসায়ীক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ফলস্বরুপ এখানে প্রতিষ্ঠা পায় বৃটিশ ভারতের সামরিক ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে গুরুত্বপুর্ন প্রসিদ্ধ সোনাহাট রেলওয়ে জংশন।
এই অঞ্চলের তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত সোনাহাট কালী মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তির আয় দিয়ে পরিচালিত হতো পুজারী,তীর্থযাত্রী,অসহায় দুঃস্থ দরিদ্রদের জন্য লঙ্গরখানা। দুরবর্তী তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য সু ব্যবস্থা ছিল।সকল জনগনের পিপাসা নিবারনের জন্যএখানে খনন করা হয় সুপেয় পাঁচটি গভীর ইদারা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় মাত্র কয়েকটি হিন্দু পরিবার ব্যতীত বাকীরা ভারতে পাড়ি জমালে বাংলাদেশের অংশের চারটি ইদারা ভুমিদস্যুরা উঠিয়ে ফেলে । বর্তমানে একটি ইদারা ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে মন্দির থেকে ১০০ গজ দুরে ঝোপঝাড়ে ঢেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ইদারাটির গায়ে খোদাই করে শ্রী কিস্তর চান্দ ওশোয়াল এবং ব্রজলাল ওশোয়াল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২ রা বৈশাখ লেখা রয়েছে।
বহুকাল পুর্ব থেকে এই মন্দিরের অধিষ্ঠাতা দেবীকে জাগ্রত কালী হিসাবে হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের লোকজন বিশ্বাস করে থাকে। যেকোন ব্যক্তি যেকোন বাসনা পুরনের জন্য কালী দেবীর নিকট কোন কিছু মান্নত করলে তার সে আশা পুরন হওয়া অসুখে বিসুখে তার নিকট রোগমুক্তির জন্য মানত করলে সে রোগ থেকে মুক্তি লাভ করায় তারা কালী মন্দিরে কবুতর,ছাগল,ভেড়ার পাঠা টাকা পয়সা দিয়ে আসছিল। এখনও দুরের এবং স্থানীয় লোকজন মন্দিরে কবুতর,ছাগল,ভেড়ার পাঠা টাকা পয়সা দিয়ে থাকে। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে বলে লোকজন আজও বিশ্বাস করে। স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় এই কালীমন্দিরে আজও বাস করে একজোড়া নাগ-নাগিনী। অনেক বয়োবৃদ্ধদের চোখে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। দর্শনার্থীরা ভোগ হিসাবে দুধকলা দিলে জাগ্রত কালী নাগ-নাগিনীর রুপ ধরে খেয়ে যায় বলে জানান। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই নাগ-নাগিনী রুপী কালী কাউকে কোন দিন দংশন করেনি বা ক্ষতি করেনি। কথিত আছে বৃটিশদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে এই সোনাহাট বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বৃটিশ সৈন্য বহরের ট্রেন এবং কালীমাতার অভিশাপে তারা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। প্রায় দেড়শতাধিক বছর পুর্বে নিমিত মন্দিরটি শুধু মাত্র পুজার্চনার জন্যই ব্যবহৃত হয়নি মন্দিরে পুজার্চনার পাশাপাশি মানুষের সেবার জন্য তখন আয়ুবের্দিক ভেষজ কবিরাজী চিকিৎসা দেয়া হত।বর্তমানেও মন্দিরের সেবক শ্রী সুবল চন্দ্র বংশপরম্পরায় জরাগ্রস্থ মানুষের মাঝে বিনামুল্যে কবিরাজী চিকিৎসা দিয়ে মানুষের সেবা করে আসছে। সুবল চন্দ্রের মাতা স্বর্গীয় চম্পাকলতা ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ১০৫ বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করে । তিনি আজীবন এই মন্দিরের সেবকের দায়িত্ব পালন সহ বিনামুল্যে মানুষের সেবা করে গেছেন। এই মন্দির প্রতিষ্ঠার পর ভারতের বিখ্যাত পুরোহিত ও তান্ত্রিক বিশেষজ্ঞ বিরাজ মোহন গাঙ্গুলী ছিলেন এর অন্যতম পুরোহিত। এই পুরোহিত বংশের সর্বশেষ পুরোহিত ছিলেন স্বগীয় সুনীল ঠাকুর গাঙ্গুলী যিনি আজ থেকে ৩৩ বছর পুর্বে ইহধাম ত্যাগ করেছেন। সুনীল কুমার গাঙ্গুলীর ইহধাম ত্যাগের পর আর কেউ নিয়মিত পুরোহিতের দায়িত্ব কাধে নিতে এগিয়ে আসেনি। তার পর থেকে শুধুমাত্র কার্তিক মাসের অমাবশ্যা তিথিতে কালী পুজার সময় চুক্তিভিক্তিক পুরোহিত দিয়ে পুজার্চনা করা হয়। বর্তমানে কচাকাটা বাজারের শ্রী কার্তিক ব্যানার্জী ও তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শ্রী কৃষ্ণ ঠাকুর পুজার সময় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এক সময়ের অসংখ্য হিন্দু জনপদ পরিবেষ্টিত এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বার মাসে তের পুজা লেগে থাকতো। পুজা, হরিসভা,সংকীর্তন ইত্যাদির সরগরমে জমে উঠতো মেলা। দুরদুরান্ত থেকে আগত তীর্থযাত্রীপুজারীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এই মন্দির প্রাঙ্গন। মন্দির প্রাঙ্গনে পড়ে যেত বেচাকেনার ধুম। জমে উঠত খেলাধুলার ধুম। আবহমানকালের বাঙ্গালী ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসাবে যাত্রা পালা,কুষান যাত্রা,কবিয়াল গান মন্দির প্রাঙ্গনে চলত দিনের পর দিন আর মেলা পার্বনে সকল ধর্ম বর্নের লোকজন স্বতঃফুর্ত অংশ গ্রহন করতো। এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের সুতিকাগার হিসাবে খ্যাত সোনাহাট কালী মন্দিরটির সকল জৌলুস ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে। কালের বিবর্তনে রাষ্ট্র ভাঙ্গা গড়ার খেলায় সকল কিছুর মত সমাজ ব্যবস্থাও পরিবর্তনশীল। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর পাকিস্তান ও ভারতের নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হলে ঐতিহাসিক সোনাহাট বন্দর ও রেলওয়ে জংশন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সোনাহাট বন্দরটি ভারতের আসাম রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় পরে ফলে তা পরিত্যক্ত হয়। আর মন্দিরটি সীমান্তের ১০ গজ তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পড়ে। তখন সোনাহাট বন্দরটির নাম ঠিক রেখে সীমান্ত থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে সোনাহাট নামে বাজার চালু হয়। দেশভিভাগের সময় সম্ভ্রান্ত মাড়োয়ারী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভারতে পাড়ি জমায় ফলে পুজার্চনা বন্ধ হয়ে কালের আবর্তে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে সোনাহাট কালী মন্দির। পাকিস্তান আমলে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও সোনাহাটে প্রভাবশালী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মধ্যে মরহুম আব্দুর রহিম মন্ডল,কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক গভর্ণর মরহুম শামসুল হক চৌধুরী,তৎকালীন পাইকেরছড়া ও সোনাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম ফয়েজউদ্দিন মন্ডল ও স্থানীয় অনেক মুসলিম জনগনের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় রয়ে যাওয়া হিন্দু পরিবার আবারও কোন রকমে পুজার্চনা শুরু করে সেই সোনাহাট কালী মন্দিরে। ১৯৭১ সালে আবারও পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মন্দিরের সেবকের দায়িত্ব থাকা পরিবার ব্যতীত সকলেই ভারতে চলে যায় আর জৌলুস হারিয়ে ফেলে সোনাহাট কালী মন্দিরটি। পুর্বে বিভিন্ন নক্সা ও টেরাকাটা নক্সা করা মন্দিরটি কালের অতলে ধ্বংস প্রাপ্ত হলেও টাকার অভাবে মন্দিরের সেবকের দায়িত্বে থাকা পরিবারটি নতুন করে মন্দির করতে না পেয়ে ঐ স্থানে টিনের ছাপরা তুলে সেখানে প্রতিবছর শুধুমাত্র কালী পুজা করে। আজ থেকে ২ যুগ পুর্বে তৎকালীন বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সাবেক ভুরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার মন্দির ঘর নির্মানের জন্য ১ টন চাউল প্রদান করলে সেই চাউল বিক্রি করে ৯ হাত দৈর্ঘ্য ও ৬ হাত প্রস্থ টিনশেড ও হাফওয়াল বিশিষ্ট মন্দির নির্মান করা হয়েছে যাতে এখন বার্ষিক কালী পুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কখনও বা দুর্গা পুজাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কালের বিবর্তনে আজ প্রায় হারিয়ে গেছে অত্র অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই মন্দির ও মন্দির কেন্দ্রিক সবধরনের কর্মকান্ড। আজও এলাকার বয়োবৃদ্ধরা এই মন্দিরের নানান কিচ্ছা কাহিনীতে মশগুল হয়ে হারিয়ে যান বিস্মৃতির অন্তরালে। কেউ কেউ আশায় বুক বাধেন অতীতের সেই সোনাহাট আর কালী মন্দির ফিরে পাবে তার অতীত ঐতিহ্য। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারতের ১৮তম সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হওয়ায় সোনাহাট তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেলেও সোনাহাট কালী মন্দিরটির ঐতিহ্য এখনও ফিরে আসেনি। এখনও মন্দিরের সেবক শ্রী সুবল চন্দ্র জানান প্রতিবছর কার্তিক মাসের অমাবশ্যায় কালী মন্দিরে পুজা অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক হিন্দুরা প্রসাদ গ্রহন করতে আসেন আর কালীমাতার আশির্বাদ নিতে চলে আসে রাষ্ট্র পৃথক হলেও কালী মাতার আশির্বাদ নিতে তাদের কোন নিয়মই পৃথক করতে পারেনি। সরকারীভাবে মন্দিরটি রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিলে উত্তর ধরলার যত প্রাচীন নিদর্শন আছে তার মধ্যে সোনাজাট কালীমন্দিরের ইতিহাস কম গুরুত্বপুর্ন নয়। এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সোনাহাট কালীমন্দিরটি সরকারী ভাবে নির্মান করলে প্রতিবছর স্থানীয় মাদাইখাল কালী মন্দিরের ন্যায় আবারও পুজার্চনার আয়োজন করলে সারা বাংলাদেশ সহ ভারতের তীর্থযাত্রী পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে এবং সরকার প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরীর বলেন সোনাহাট কালীূ মন্দিরটি আত প্রাচীন মন্দির,বৃটিশ ও তার পুর্বে এই মন্দিরটি খুব জাগ্রত ছিল বলে আমি আমার বাবা মা ও দাদাদাদীর কাছে অনেক গল্প শুনেছি। বর্তমানে পুরাতন সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হওয়ার পর সোনাহাটে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। মন্দিরটির রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি মাত্র হিন্দু পরিবার থাকলেও মন্দির কমিটি নেই ফলে সরকারী সাহায্য সহযোগীতা ঠিকমত করা হয়নি। তবে মন্দির কমিটি গঠিত হলে এবং তারা আবেদন করলে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে যথা সাধ্য সাহায্য করবো। আমিও চাই এই প্রাচীন কালী মন্দিরটি টিকে থাক ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে পারবে এই এলাকার প্রাচীন ইতিহাস। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার জানান,অতীত ইতিহাস পড়লে সোনাহাটের ইতিহাস পড়লে গা শিউরে উঠে যে,ভারত বাংলাদেশের সোনাহাট কালী মন্দিরটি মিলন মেলায় পরিনত হত আজ কালের গর্ভে সেই দিন হারিয়ে ইতিহাসকে থুবরে দিয়েছে। মন্দিরটি ধ্বংস প্রাপ্ত হলেও কেই কোনদিন সাহায্যের হাত বাড়ায়নি শুধুমাত্র আমি সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মন্দির নির্মানের জন্য ১ মেট্রিকটন চাউল দিয়েছিলাম সেই চাউল বিক্রি করে বর্তমানের মন্দিরটি নির্মিত। আমি যদি কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারি তবে সোনাহাট সীমান্ত হাট চালু সহ কালীমন্দিরের হারানো ঐতিহ্যকে ফিরে আনতে যা করার দরকার তাই করবো।