mail.google

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
থেমে থেমে বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চর ও দ্বীপ-চরের নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সদর উপজেলার যাত্রাপুর, নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া, নারায়নপুর, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট, রাণীগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাচা রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে দিন মজুর শ্রেনির মানুষজন।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের তিন হাজারীর চরের ইছব আলী জানান, এবার আগাম বন্যা শুরু হইছে। বাড়ির চারিদিক পানি উঠছে। নদীর পানি বাড়তে থাকলে ঘরোত পানি ঢুকবে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা চরের সুলতান জানান, বন্যায় চরের রাস্তা-ঘাট তলে গেছে। গরু-বাছুর ও বাচ্চা-কোচ্চা নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। বর্তমানে কাজও চলে না।
সদর পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আমার ইউনিয়নে সবজি চাষী কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি। এছাড়া ধরলা নদীর তীরবর্তী কদমতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ভাঙ্গন ঠেকাতে বিনীত অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোতে আমরা জুরুরী ভিত্তিতে বাশের বান্ডেল ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১১সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *