শফিউল আলম শফি ঃ কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখনও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ কমেনি বন্যার্তদের।
জেলার ৪ শতাধিক চরসহ নি¤œাঞ্চলের বাড়ী-ঘর থেকে দ্রুত পানি নেমে না যাওয়া ঘরে ফিরতে পারছে না বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া মানুষজন। টানা ১৫ দিনের বন্যায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। বন্যা দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত নানা রোগ।
সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রান তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ বেশির ভাগ বানভাসীর।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, বন্যার্তদের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় ৩৮ লাখ টাকা, ১২শ ৭৫ মেট্রিক টন চাউল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। এসময় জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ১৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।