কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে গরুর খুরারোগ ব্যপক হারের ছড়িয়ে পরেছে। নাগেশ্বরী উপজেলার ভবানীপুর,দেবীপুর,ও নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরকাপনা গ্রামে গত কয়েকদিনে ১১টি গরু মারা গেছে বলে সংশ্লিষ্টসুত্রে জানা গেছে। সুত্রটির মতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এ রোগের প্রাদুভাব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরেছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের ডাক্তার অমিতাভ চক্রবর্তি জানান,খুরারোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এটা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তিনি বলেন খুরারোাগ একটি মারাক্তক ছোয়াছো রোগ। এই রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে ১০৬থেকে ১০৭ডিগ্রী জ্বর আসে। গরুর মুখে ঘা হয় এবং মুখ দিয়ে লালা পরে ও পায়ের খুড়ি ও ওলানের মধ্যে ঘা হয়। এ রোগ হলে আক্রান্ত গরু খাইতে পারে না। ফলে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে মারা যায়। সরেজমিন ভবানীপুর গ্রামটি ঘুরে দেখা যায় বেশ কিছু গৃহস্থের গরুর খুরারোগ হয়েছে। ভিতরবন্দের পল্লী প্রানী চিকিৎসক ডাক্তার আবুল কাশেম জানান, ভোগডাঙ্গা, যাত্রাপুর, ভিতরবন্দ, নুনখাওয়া, কালিগঞ্জ নারায়ন পুর, কেদার, কচাকাটা, বলদিয়া, শীলকুড়ি, চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন গুলোসহ চরাঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এসব অঞ্চলের অধিকাংশ গবাদি পশু নতুন ঘাস ও পচা ঘড় খেয়ে পাতলা পায়খানায় ও খুরারোগে আক্রান্ত হয়ে কাহিল হয়ে গত কয়েকদিনে ওইসব এলাকায় ১১টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে নুনখাওয়ার এমদাদুলের ২টি ও ও ভিতরবন্দের হামিদুলের একটি গরু মারা গেছে । ভোগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, গবাদি পশুগুলো খুরারোগ ও নতুন ঘাস খেয়ে জ্বর সদ্দি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়েছে । আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা দিতে জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা জানান, খুরারোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ মাঠে মেডিকেল টিম কাজ করছে। আক্রান্ত গরুকে ট্রেট্রাসাইক্লিন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যাতে এ রোগ ব্যপকভাবে ছড়াতে না পারে সে লক্ষে মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে।