mail.google

শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৫ দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৫০ হাজার পানিবন্দি মানুষ। সরকারী কিংবা বেসরকারী ভাবে ত্রান তৎপরতা শুরু না হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ খাবারের সংকট। এ অবস্থায় হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষেরা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ঘরের ভিতর পানি বেড়াবার উপায় নাই। ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে খাওয়ার কষ্টে পড়েছি। স্বামীর কাজ নাই বাড়িতে বেকার বসে আছে। ধার দেনা করে কোন রকমে একবেলা খেয়ে না খেয়ে আছি। কোন মেম্বার চেয়ারম্যান এখনো খোঁজ নেয় নাই। কোন সাহায্য পাই নাই।
এ ব্যাপারে যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। রাস্তা তলিয়ে থাকায় পানিবন্দি মানুষেরা কোথাও বের হতে পারছে না। আমি সরকারের নিকট অনুরোধ জানাই দ্রুত বন্যা কবলিতদের ত্রান সামগ্রী সহায়তা দেয়া হোক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়নে বন্যা মোকাবেলায় টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আমরা বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবার কিনে রেখেছি। আমরা বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *