শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দুধকুমর নদে ১৩৭বছর আগে ব্রিটিশ আমলে অথ্যাৎ ১৮৭৯ সালে নির্মিত বঙ্গসোনাহাট রেলসেতুটি এখন হুমকি মুখে পরেছে। তদান্তিতন নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে- ও আসামের সাথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য পাইকেরছড়া ইউনিয়নে দুধকুমর নদের উপর সোনাহাট নামে রেলসেতু নির্মান করা হয়। বর্তমান সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মেঃটন পাথর বোঝাই শত শত ট্রাক পারাপারের কারনে পুরাতন সেতুটি হুমকির মুখে পরেছে । ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর পথরোধ কল্পে ওই সেতুটির ২ টি স্লিপার ভারতীয় সেনারা ডিনামাইন দিয়ে উড়িয়ে দেয়। ১৯৮৮সালে ওই স্লিপার দুটি পুনঃস্থাপন করা হয়।ওই সেতুটি বলদিয়া,চরভুরুঙ্গামারী,কচাকাটা,কেদার,বল্লভেরখাষ ও নারায়ণপুর বঙ্গসোনাহাট,ইউনিয়নের লোকজন ভুরুঙ্গামারী উপজেলাসহ দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগাযোগের একমাত্র পথ। সোনাহাট রেলসেতু নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেতুটির আয়ুষ্কাল ১০০ বছর বেঁধে দেয়া হয় যা ইতিপুর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে। কয়েক বছর আগে সংযোগ সড়ক ভাঙ্গায় সেতুটি হুমকির মুখে পরে। পরে বাঁধ দিয়ে সেতুটি রক্ষা করা হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সোনাহাট রেলসেতুটিকে ঝুকিপুর্ন চিহ্নিত করে ৩ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা সত্বেও সোনাহাট স্থল বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ২০ থেকে ২৫ টন পাথর বোঝাই নিয়ে পারাপার করায় সেতুটির বিভিন্ন অংশ দেবে গেছে এবং ও ফাটল দেখা দিয়েছে। একই সাথে একাধিক ট্রাক পারাপারের সময় সেতুটি ভুমিকম্পের মত কেপে ওঠে। এ সময় পথচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে পার করতে হয়। ঐতিহাসিক সোনাহাট রেলসেতুটি রক্ষার জন্য ইতিপুর্বে এলাকাবাসী কয়েকদফা মানব বন্ধন করেও কোন ফল হয়নি । যেকোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সুধী মহল। এ ব্যাপারে পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন সরকার জানান,সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৩ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন । তিনি সেতুটি রক্ষার জন্য সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান আলী জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিরীক্ত বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রনে সরকারী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,সেতুটি রক্ষার করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।