mail.google

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম জেলা থেকে রৌমারী ও রাজিবপুরকে জামালপুর জেলার সাথে অন্তভুক্ত করার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে রৌমারী সিজিজামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভা অনুষ্টিত হয়। সাবেক এমপি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ওই জনসভায় কুড়িগ্রাম-৪আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন(জেপি),রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলমকে জেলা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, বার কাউন্সিল সভাপতি (পিপি) আব্রাহাম লিংকন, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীরবিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, বিএনপি সভাপতি আজিজুল হক, জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন লাল, মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম, বাসদের আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবুল বাশার মঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুসহ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। সভাটি সঞ্চালন করেন রৌমারী উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু। সভায় প্রধান অতিথীর বক্তবে জেলা পরিষদ প্রশাসক জাফর আলী বলেন, এমপি রুহুল আমীন,ও উপজেলা চেয়ারম্যানদ্বয় জেলা পরিবর্তনের পক্ষে লিখিত মতামত দিয়েছেন। ওই তিন জনপ্রতিনিধি জনগনের মতামত নেয়া উচিৎ ছিল । জনগন যা চায় না তা করা বোকামী। তাই জেলা পরিবর্তন কোনভাবে মেনে নেয়া হবে না’।
সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগনের মনের ভাষা বোছে না তাই তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। সরকার জেলা পরিবর্তন নীতি থেকে সরে না এলে প্রয়োজনে দুর্ব্বার গনআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। উপজেলা প্রশাসন ঘেড়াও, হরতার পালন, রাস্তা ঘাটও বন্ধ ও গনআমরণ অনশন, করার হুমকি দেয়া হয় সভায়।, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল রৌমারীর মানুষের মতমতকে উপেক্ষা করে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলাকে জামালপুরে অন্তভুক্তি অগ্রহন যোগ্য। চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীরবিক্রম,বলেন,এমপি রুহুল আমিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে শুধু রৌমারী ও রাজিবপুরবাসীকে নয় তারা সরকারের মাঝেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। কারণ রৌমারী ও রাজিবপুরের মানুষকে কুড়িগ্রাম জেলায় যেতে খরচ লাগে দেড় থেকে দু’শ টাকা । সেখানে জামালপুরে যেতে লাগবে ৫ থেকে ৬’শ টাকা। পাশাপাশি কুড়িগ্রামের দুরত্ব এবং জামালপুরের দুরত্ব প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়াও রৌমারী ও রাজিবপুরের মানুষের ইতিহাস-ঐহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে কুড়িগ্রামের কৃষ্টি-কালচার সহ¯্র বছরের পুরনো। সভায় ‘কুড়িগ্রাম ছাড়বো না জামালপুর যাবো না’, মুহুর্মুহ স্লোগানে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসুচী অব্যাহত রাখার শপথ করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *