ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ::
কুলাউড়া উপজেলায় পিতাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাঙ্কে পুতে রাখার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার মূলহোতা ও ঘাতক পুত্র মঈন উদ্দিন (২৭) এখনও রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ বলছে ঘাতক মঈন উদ্দিনকে আটকে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগহাল গ্রামে পাষন্ড পুত্রসহ পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক আলোচিত মহব উল্যাহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী ও নিহতের ছোটভাই লোকমান আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মহব উল্যার স্ত্রী হাসনা বেগম, আলাউদ্দিন, সাফিয়া বেগম, মেয়ের জামাই হারিছ আলীসহ ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে। মামলার বাদী ও নিহতের ছোটভাই লোকমান আলী ও নিহতের অপর ছোটভাই আব্দুর রফিক জানান, মহব উল্যার বড় মেয়ে একই ইউনিয়নের ডরিতাজপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৫), মেয়ের জামাই মবশ্বির আলী (৪২) ও তাদের ছেলে জলাল মিয়া (২২) গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে ঘটনাস্থলে অর্থাৎ নিহতের বাড়ীতে আসেন। একপর্যায়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনার সাথে তারাও জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। এদিকে নির্মম এ হত্যাকান্ডের পর ভয়ে এলাকার লোকজন বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় চলাচল করছেনা। কোন লোকজন না থাকায় নিহতের বাড়ী নিস্তব্ধ হয়ে আছে। লোকমান আলী ও আব্দুর রফিক বাড়ীর সবকিছু দেখাশুনা করছেন। সবকিছু তাদের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান। এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার মামলায় জড়িত আসামীদের মৌলভীবাজার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এলাকাবাসী মূলহোতাসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষন রায় জানান, আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মূল হোতাকেও আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর মহব উল্যাকে এলাকায় নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ছড়ানো হয়। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নিহতের নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয়। স্থানীয় লোকজন কুলাউড়া থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মহব উল্যার গলিত লাশ উদ্ধার করে।