কুড়িগ্রাম থেকে, রাশিদুল ইসলাম ঃ
কুড়িগ্রামে ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক নারী কর্মীকে ঘরে আটকে রেখে বিব্রস্ত করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বুলু (চশমা প্রতীক) এর হয়ে কাজ করে অত্র ইউনিয়নের বড় গ্রাম এলাকার লাভলু মিয়ার স্ত্রী নারী কর্মী ফিরোজা বেগম (৩০)। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থী সাদেকুল হক নুরু পরাজিত হয়। পরাজয়ের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নানাভাবে মার-ডাং এবং ভয়াবহ সংঘর্ষ সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধনি রয়েছেন।
নির্বাচনের ৪ দিন পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী কর্মী ফিরোজা বেগম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নস্থ বাবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে ছিনাই বড় গ্রামের নৌকা প্রতীক সমর্থক মজিবর (৫৫), মোজাম্মেল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৫), কাদের (২৫), মনজু (৩৫), মেহের চাঁদ (২৬) ও সাইদুল (৩০) নারী কর্মী ফিরোজার পথরোধ করে তাকে তুলে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী মজিবরের বাড়ির উঠানে নুর ইসলামের বাড়িতে। সেখানে ২ ঘন্টা রেখে তার পরনের বস্ত্র ছিড়ে ফেলে এবং তার শ্লিলতাহানি ঘটনায়। পরে ফিরোজার বাড়ির লোকজন খবর পেলেও ভয়ে সেখানে না গিয়ে রাজারহাট থানায় খবর দিলে রাজারহাট থানার এসআই শাহীন তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত নারী কর্মী ফিরোজা বেগম বলেন-আমার অপরাধ আমি স্বতন্ত্র (চশমা প্রতীকের) হয়ে কাজ করেছি। তারা আমার ইজ্জত নিয়ে টানা-হেচড়া করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।