কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
এবারের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতি করেছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় বিএনপি এগিয়ে থাকলেও তা চিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কুড়িগ্রাম প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করার জন্য কাজ করছে। এর আগে এতবড় আজ্ঞাবহ কমিশন কমই ছিল। এরা শাসক দলের কাছে দেউলিয়া হয়ে গেছে । সেদিন আর বেশী দূরে নয় এ অবস্থা চলতে থাকলে জনগণের ধাওয়া থেকে নির্বাচন কমিশন রক্ষা পাবে না। তিনি আরো বলেন,
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অধিকাংশ পৌরসভা গুলো কেড়ে নিয়েছে সরকারি দল। ঐ দিন স্থগিত হওয়া পৌরসভাগুলোর নির্বাচন ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী অভিযোগ করেন, ওই পৌরসভাগুলোতে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের ভাইকে বিজয়ী করতে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাঁকে গণসংযোগ করতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছে। ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। সেখানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে যা যা করার দরকার, তা-ই করছে সরকার। অথচ সেখানে বিএনপির প্রার্থীই এগিয়ে আছেন। একই অবস্থা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌর নির্বাচনে ও নরসিংদির মাধবপুর পৌরসভায়। এখানেও বিপুল ভোটে এগিয়ে আছে বিএনপির প্রার্থী।
কুড়িগ্রাম প্রেসকাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজার রহমান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অ্যাডভোকেট রেহানা খানম বিউটি প্রমুখ।
রিজভী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জেনেও শুধু গণতন্ত্রের সামান্যতম পরিসরে প্রবেশ করতে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণবিচ্ছিন্ন। এই সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রাধান মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাশকতার মামলায় ফাঁসাতে চায়। কারণ আইন, বিচার বিভাগ সবই তার ভ্যানিটি ব্যাগে। একই ভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে তোয়াক্ক না করে উল্টো প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। যা গ্রহন যোগ্য নয়। এভাবে বাংলার মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। একদিন সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে মানুষ বেড়িয়ে আসবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তাদের চাকরির মেয়াদ শুধু দীর্ঘায়িত করছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব সন্ত্রাস চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।