mail.google

মোহাম্মদ সাকিব চৌধুরী, খানসামা(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা এসিল্যান্ড হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও দীর্ঘদিনেও ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার কোনো স্থায়ী সুরাহা হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ ভূমি অফিসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সর্বশেষ ‘৯৭ সালে খানসামা ভূমি অফিসে একজন এসিল্যান্ড দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎকালীন এসিল্যান্ড মাহবুর-উল আলম ১৯৯৭ সালের ২০ ফ্রেবরুয়ারী বদলি হয়ে অনত্র চলে যায়, সেই থেকে আজ পর্যন্ত পদটি খালি পড়ে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যিনিই যোগদান করছেন তিনিই অতিরিক্ত এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই কর্মকর্তা সপ্তাহে দুইদিন ভূমি অফিসে গিয়ে একগাদা ফাইল সই করা ছাড়া ভূমি সংক্রান্ত কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারছেন না। ফলে উপজেলার ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত নানা সমস্যায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিগত নির্বাহী কর্মকর্তারা সংশিষ্ট্র র্কর্তৃপক্ষকে বারবার এ বিষয়ে অবগত করলেও অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন ধরে পদটি খালি পড়ে রয়েছে।
খানসামা ভূমি অফিসের বাইরে দাড়িয়ে থাকা মো: তোয়াব হোসেন নামে এক সেবাপ্রার্থী বলেন , আমাকে এক জমি সংকান্ত বিষয় নিয়ে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে বসতে হবে কিন্তু এখানে এসিল্যান্ড না থাকায় ইউএনও স্যারের কাছে যেতে হবে কিন্তু ইউএনও স্যারও একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাইরে গেছে তাই আজ আমরা কাজটি হল না।
বর্তমানে এসিল্যান্ড হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাজেবুর রহমান জানান, ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। ইউএনও হিসেবে নানাবিদ কাজ সমাপ্ত করাসহ ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার সমাধান দেয়া একার পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে অবশ্যই একজন কর্মকর্তা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *