mail-google
মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন হাটে গরুর হাট জমে উঠেছে। এ বছর হাট গুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে দেশি গরুর। ফলে এ বছর লাভের মুখ দেখছেন খামারিরা।
এবার গরু বিক্রি করে এ অঞ্চলের খামারি ও চাষিরা গত দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। কোরবানির ঈদে দেশে গরুর চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে থাকে দিনাজপুর অঞ্চল সহ বৃহত্তর চিরিরবন্দরের গোখামারিরা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলার গরুর ব্যাপারিরা এ অঞ্চলের গরু খামারি ও চাষিদের বাড়ি থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ বছর ভারতীয় গরুর আমদানি কম থাকায় এ অঞ্চলের গরুর তাই চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা দামও পাচ্ছে বেশ ভাল।
এছাড়া দিনাজপুর সহ চিরিরবন্দর হাট-বাজার গুলোতে যোগাযোগের সুন্দর ব্যবস্থা থাকায় দিনাজপুর জেলা সহ বিভিন্ন জেলার ব্যাবসায়ীদের কাছে এই হাটগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতি সপ্তাহের সোমবার- বুহস্পতিবার রাণীরবন্দর হাট , রবিবার- বুধবার হাট বসে।
গত সোমবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাণীরবন্দর হাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাণীরবন্দর হাটে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। দূর-দূরান্ত থেকে গরুব্যবসায়ী ও খামারিরা শত শত ট্রাক, নসিমনে করে হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন। ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু আমদানি হয়েছে। হাটে ভারতীয় গরু রয়েছে মাত্র ২ থেকে ৪ টি। ফলে দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। দাম বেশি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি দেশি গরুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পর পর দুই বছর লোকসানের পর এ বছর গরুর ভাল দাম পাওয়ায় বেশ খুশি দিনাজপুর সহ চিরিরবন্দর উপজেলার গোখামারি ও চাষিরা।
উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তারেক রহমান জানান, উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার গরু মোটাতাজাকরন করা হয়েছে । এগুলো চিরিরবন্দর হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে খামারীরা। তিনি আরো জানান, এই উপজেলায় কুরবানীর পশুর চাহিদা পুরন করেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুরবানীর পশু সরবরাহ করছে । শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরন করার কারনে চিরিরবন্দরে কুরবানীর পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।
এদিকে হাট ইজারাদারের প্রতিনিধিদের কাছে জিম্মি হয়ে পরার অভিযোগ করেছেন গবাদিপশুর ক্রেতা ও বিক্রেতারা। তারা জানান, ইজারাদারের প্রতিনিধিরা নিজেদের ইচ্ছামতো অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর হাট ইজারাদারের প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাটে ক্রেতা বিক্রেতার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য আলোকসজ্জা ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার ব্যবস্থা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *