mail.google
মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলনে হাসির ঝিলিক। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় চলতি মৌসুমে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহামুদুল হাসান জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১২ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন অর্জিত হয়েছে ১৫ শত ১০ হেক্টর জমিতে। চিরিরবন্দর উপজেলা পাট উন্নয়ন উপ-কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বরাদ্ধ অনুযায়ী চলতি মৌসুমে পাটবীজ চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চাষীদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে সার্বিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কৃষকদেরকে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার লক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্বুদ্ধকরণের কাজ চলছে। চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক রহমান আলী জানান, প্রকৃতিক দুর্যোগ ও পাট উৎপাদন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে পাট চাষ করে ফসল উৎপাদনের খরচ উঠতো না। এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিস নিকট আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ বিষয়ে ধারণা লাভ করে অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ বাড়ছে এবং পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জানান , দবিগত সময়ে পাট চাষ করে লাভবান না হওয়ায় কৃষকদের মাঝে পাট চাষের আগ্রহ কমতে থাকে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করা হচ্ছে। উন্নত বীজ ও আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ করে বর্তমানে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাট উৎপাদনে আমাদের আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত।
উপজেলায় উন্নত পদ্ধতিতে পাট চাষ করে লাভবান হওয়ার কথা জানালেন, পাট চাষী মুকুল হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি এক সময় পাটের উপর নির্ভশীল ছিল। কিন্তু পাট চাষ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল। এছাড়া এবার বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টি পাত হাওয়ায় সঠিক সময়ে পাট জাগ দিতে পেরে আমরা খুশি। এদিকে পাট চাষ লাভজনক করে তোলার জন্য চিরিরবন্দর উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চাষীদের উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। এবছর কৃষকেরা সময়মত আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে উন্নতমানের বীজ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ অব্যাহত রেখে পাট চাষ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *