শফিউল আলম শফি, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে এই যে জঙ্গীদের উৎপাত এখানে বিদেশীরা জড়িত বলে সরকার যে অভিযোগ করছেন এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। আপনি একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের অভ্যন্তরে একের পর এক রক্ত ঝরা ঘটনা ঘটছে সেই ঘটনায় আপনার কি কোন দায়িত্ব নেই? কখনও আপনি দায়ী করেন দেশের বৃহত্তর বিরোধী দল বিএনপিসহ বিরোধী রাজনীতিকদেরকে। এখন আপনি দায়ী করছেন বিদেশী শক্তিকে। সম্পুর্ণ রুপে আপনি ব্যার্থ একজন প্রধানমন্ত্রী। আপনার কিছুই করনীয় নেই। কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী আপনি তৈরি করতে পারছেন না জনগণকে জাতীকে নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে। এই চরম ব্যার্থতার কারনে আপনার এই মুহুর্তে বিদায় নেয়া উচিত। আপনার পদত্যাগের মধ্যদিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে জনগণই তখন দায়িত্ব নিবে অশুভ শক্তিকে বিনাশের।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আরো বলেন, আজকে আপনারা পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন অস্ত্র দেয়া হয়েছে কি আপনাদের পকেটে রাখার জন্য। বিরোধী দলের মিছিল দেখলেই সেখানে সেটা চালাতে হবে। অথচ আজকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে অশুভ শক্তির নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে সেই নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে দমন করতে পারছেন না। আইন প্রেয়োগ কারী সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হয় দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য, দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য। আর এটা করতে গিয়ে তাদেরকে লাইসেন্স দেয়া হয় গ্রেফতার বাণিজ্যসহ নানা প্রকারের অনাচারের। আর এই কারনে দেশের অনাচে-কানাচে যে উগ্রবাদ ডালপালা মেলে বিস্তার লাভ করছে সেটাকে তারা রুখতে পারে না, প্রতিরোধ করতে পারে না।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আরো বলেন, এই সরকারের এমন কিছু অর্ন্তনিহিত বিষয় আছে যেটি তারা আজ জনগণকে জানতে দিতে রাজি নন। সন্দেহ ভাজন জঙ্গীকে ধরছেন অথচ তাদের আইনি প্রক্রিয়া না এনে তদন্ত প্রক্রিয়ার না এনে, বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে। তাহালে জঙ্গীবাদ কারা, এই উগ্রবাদী শক্তি কারা, তাদের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে আজকে মানুষের কাছে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। চারিদিক থেকে জনগণের মাঝে যে ভয়ের, যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে এজন্য সরকার দায়ী। আবারো বলছি যে বিষয়টি আমাদের দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আহবান করেছেন জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে উগ্রবাদকে দমন করা সম্ভব হবে যদি আজকে দলমত নির্বিশেষে সকল দল মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। সেদিকে সারা না দিয়ে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার। একের এক শর্ত আরোপ করে জাতীয় ঐক্যের যে আহবান তা এরিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, সাবেক এমপি ওমর ফারুক, যুগ্ন সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাবেক পৌর মেয়র নুর ইসলাম নুরু ও বিএনপি নেতা হাসিবুর রহমান হাসিবসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।