ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট শহরের মাছুয়া বাজারস্থ আরাফাত সুপার মার্কেটের জমি, বিকাশ এজেন্ট অফিসের জমি ও বঙ্গবন্ধু রোডের বাসা বাড়ির প্রায় ১৩০ কোটি টাকার জমি অবৈধভাবে ও জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।‌ সোমবার বিকেলে জয়পুরহাট শহরের মাছুয়া বাজার এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন সাজ্জাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালিদ হোসেন সাজ্জাদের বাবা জয়পুরহাট শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের আবুল কালাম আজাদ প্রায় ৬৫ শতক সম্পত্তি মটগেজ রেখে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋন নেন। ২০২২ সালে আবুল কালাম আজাদ মারা যাওয়ার পর ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার জন্য ব্যাংকের স্টেটমেন্ট পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ঋণগৃহিতার পরিবার। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্টেটমেন্ট না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। রিট আবেদন শুনানি অন্তে ৭৪ লাখ টাকা ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করাসহ বকেয়া ঋণ ১২ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার আদেশ প্রদান করেন। এরপর ৪৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। সেই সঙ্গে আজাদের ঋণটি ৬ বছরের জন্য পূনঃতফসিলী করার জন্য আবেদন করা হয়। ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে দাখিলী আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ পূনঃতফসিলী করা সমূচীন হবেনা মর্মে লিখিতভাবে অবগত করেন এবং দাখিলী রিট আদেশের অসম্মতিতে লিভ টু আপিল পিটিশন দায়ের করেন। সেই লিভ টু আপিল শুনানি অন্তে মহামান্য কোটের আদেশ ভ্যাকেট করেন। এই দিকে পিআরডি বিধানমতে গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবুল কালাম আজাদ নামীয় ঋণটি পূনঃতফসিল করার আবেদন করেন সাজ্জাদ। সেই আবেদন করার পর বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবগত হওয়ার পরে দখলীয় নালিশী দাগের সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ায় মটগেজকৃত জমি দখলে নেওয়ার কোন পদক্ষেপ না করে ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে মোনমালিন্যের ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিধি বহির্ভুতভাবে পাওয়ার অব এ্যাটনি দলিলের শর্ত প্রতিপালন না করে ও ঋনগৃহিতাদের না জানিয়ে ১৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই রাতের আধারে তালা ভেঙে জবর দখলের চেষ্টা করেন। মটগেজকৃত সম্পত্তি নিলামে বিক্রির বিধান রয়েছে, ঋণগৃহিতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে অর্থঋণ আইনের ১২ (৫) ধারার বিধান বলে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে সম্পত্তি দখল বুঝে পাওয়ার পরে মটগেজকৃত সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ঋণের বিপরীতে সমন্বয় করা। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানে হয়, পরবর্তীতে খালিদ হোসেন সাজ্জাদ আদালতে মামলা করলে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সম্পত্তি ক্রয়কৃত ক্রেতার দখলে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা থাকায় বিধানমতে প্রশাসনিক কোন হস্তক্ষেপ করা যাচ্ছেনা মর্মে জানায়। কিন্তু তারপরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই সম্পত্তি অদৃশ্য শক্তির বলে দখল করার চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন