এইচ.এম ইমরান, ঝিনাইদহ থেকে :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামে আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে যুবলীগের ৫ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন, আসাননগর গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী মফিজ উদ্দীন, আবুল কাসেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, আনারুদ্দীনের ছেলে নুর ইসলাম, মজনুর রহমান ও আত্তাপ উদ্দীনের ছেলে মতিয়ার রহমান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মফিজ উদ্দীন জানান, আসাননগর গ্রামে বঙ্গবন্ধু যুব উন্নয়ন নামে একটি ক্লাব আছে। ক্লাবটি উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জে এম রাশিদুল আলম। মফিজ অভিযোগ করেন, এই ক্লাবের দখল নিতে একই গ্রামের রেজাউল তরফদারের ছেলে শুকুর আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বুধবার হামলা চালায়। এ সময় ক্লাবের মধ্যে থাকা যুবলীগের ৬/৭ জন কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। ভাংচুর করা হয় সাইনবোর্ড ও বঙ্গবন্ধুর ছবি। শুকুর আলী ছাড়াও হামলায় অংশ নেয় মনসাদের ছেলে আলীম, খলিলের ছেলে আফান, রমজানের ছেলে আবুল কাসেম, কলিম উদ্দীনের ছেলে স্বপন ও ইংজের আলীর ছেলে নয়নসহ ১০/১২ জন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, মারামারির বিষয়টি দলীয় ভাবে মিটিয়ে ফেলার কারণে মামলা হয়নি।
তবে আহতদের অভিযোগ দলীয় নেতারা চাপ দিয়ে থানার মধ্যে বসেই বিষয়টি মেটাতে বাধ্য করেছেন। ফলে এই মতবিরোধ থেকে আসাননগর গ্রামে যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে বলে দলীয় কর্মীরা আশংকা করছে।