ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥
চতুর্থ ধাপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা কামাল সহ তার ৪ নির্বাচনী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সোমবার জেলহাজতে প্রেরন করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো-চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা কামাল,তার নির্বাচনী কর্মী বিপ্লব,মালেক,আকতার।
গত ৭ মে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সঙ্গে ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নেরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা কামাল ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীক নিয়ে অনিল চন্দ্র সেন নির্বাচনে অংশ নেন।বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা কামাল (ধানের শীষ) ৯টি কেন্দ্রে মোট ভোট পায় ৪ হাজার ৮১৭ ভোট । অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনিল কুমার সেন পান ৪ হাজার ৪৬৫ ভোট।অর্থাৎ আওয়ামীলেিগর প্রার্থীও চাইতে ২৫২ ভোটের ব্যবধানে মোস্তফা কামাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং অফিসার উপজেলা প্রকৌশলী নুরুজ্জামান সরদার নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন করে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তাফা কামালের পরিবর্তে অনিল কুমার সেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা দেন বলে অভিযোগ করেন মোস্তফা কামাল ।জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত অভিযোগ করা হয়।পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টেও হাই কোর্ট বিভাগে মামলা আদালত ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত ও গেজেট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।পরে ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের মন্ডলাদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার বাদী হয়ে মোস্তফা কামাল সহ শতাধিক লোককে আসামী করে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপূর্বে গত ৬ জুন ১নং রুহিয়া ইউপির আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ বাবুকে আদালত জেলহাজতে প্রেরন করে।আবু সাঈদ বাবু আদালতে আর্ত সমর্পন পূর্বক জামিনের আবেদন করলে তার জামিন না মন্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।তিনি ১নং রুহিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে।