ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী বাজারের সাথে লাগা এক ইরাক প্রবাসীর নারীর ক্রয় করা জমিতে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা প্রদান সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।তাদের দাবি হুমকি প্রদর্শনকারিরা দূর্দান্ত প্রকৃতির, তাদের ভয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছি না, সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি।

এতে প্রাণ রক্ষাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শণ থেকে রক্ষা পেতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছে ভুক্তভোগি পরিবার।সরেজমিনে গিয়ে ও মামলার নথিপত্র দেখে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হলদিবাড়ী মৌজার জে.এল নং-৭৩, খতিয়ান নং-৪৭ এর ৫৩৮/৫৩৯ দুই দাগে মোট জমি ৯৫ শতক জমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন বেলাল উদ্দিন গং।সম্প্রতি তারা সেই জমির ১৩ শতক তাদের ছোট ভাই মিজানুর রহমানের ইরাক প্রবাসী স্ত্রী শেফালী আক্তারের নিকট বিক্রি করে দেন।

ইতিমধ্যে শেফালী আক্তার সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে দলবল নিয়ে গত ১৯ মার্চ বিকেলে নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান, বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন একই এলাকার হাসিমউদ্দিনের ছেলে আ: কাদের গং।এ ঘনার পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে সালিশ বসলেও কোন সমাধান না হওয়ায় বেলাল উদ্দিন গং হাসিমউদ্দিনের ছেলে আ: কাদের, তার ভাই তাজমুল, স্ত্রী ফরিদা, ছেলে কাউসার আলী, রিয়াজ এর স্ত্রী সোহাগী ও আ: রহিমের স্ত্রী আদুরী বেগমের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ঠাকুরগাঁও-এ একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে হুমকি প্রদর্শনকারি আ: কাদেররে সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি রাস্তা সংলগ্ন এ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছি এবং এ জমির অংশিদার শাহিনা আক্তারের কাছ থেকে ২শতক জমি ক্রয় করেছি, তবে প্রাণ নাশের হুমকি বা স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে ওই জমির ৪শতকের দাবিদার শাহিনা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বাবা মরহুম এলাজউদ্দিনের অংশ হিসেবে তিনি এ জমির মালিক, তাই তিনি এ জমি ২ শতক করে ২জনের নিকট বিক্রি করেন।তবে শাহিনা আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক সনদে পিতার নামের গড়মিল থাকায় সেই জমির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে।

এ বিষয়ে ভানোর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি দোলোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাজার সংলগ্ন জমির দ্বন্দের কথা শুনেছি, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই, তবে জমির সঠিক কাগজ যার আছে সেই জমির প্রকৃত মালিক।

এ বিষয়ে ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, জমিটির সমস্যা সমাধানে সালিস বসা হয়েছিলো।কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমস্যার সমাধান হয়নি।আমরা আবারও উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।আশা করছি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *