মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও খাদ্য ভান্ডার নামে খ্যাত দিনাজপুরের ৮ উপজেলায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার উজ্জল সম্ভাবনা থাকার সত্বেও গড়ে না ওঠায় শিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি সহ অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলার চিরিরবন্দর, খানসামা, বোঁচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও নবাব গঞ্জ উপজেলা অফুরন্ত খাদ্য শস্য ভান্ডার হিসাবে জেলা সহ সমগ্র দেশে পরিচিত। উপজেলাগুলোতে সংরক্ষনের অভাবে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। বর্তমানে কৃষি উপকরনের মূল্য ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কৃষি ভিত্তি পরিবারগুলো চাষাবাদে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। অপরদিকে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, খরা, বন্যা, অনাবৃষ্টির কারনে ও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। সব মিলে কৃষি উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। তদুপরি সংরক্ষন ও শিল্প কারখানার অভাবে প্রতিবছর এ উপজেলাগুলোতে উৎপাদিত সবজি ও সকল পন্য কয়েক কোটি টাকার বিনষ্ট হচ্ছে বলে জানাগেছে।
এখানকার অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কোন সরকারের তেমন কোন ভূমিকা রাখনি। যার কারনে উপজেলায় দিনদিন শিক্ষিত বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশা-পাশি প্রতি বছর আবাদী জমি হ্রাস পাচ্ছে। বেকারত্বের কারনে অপরাধ প্রবনতা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিক্ষিত বেকার যুবকরা নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।
উপজেলার মৌসুমি সবজি ও ফসল সংরক্ষনে হিমাগার, প্লাষ্টিক কারখানা, মাংস প্রক্রিয়াজাত করণ, বীজসংরক্ষন, চকলেট, সাবান, মম, বাঁশ ও বেত তৈরী শিল্প কারখানা, মিনি গার্মেন্টস, গরু মোটা-জাতকরণ, হাঁস-মুরগী খামার, প্রভূতি শিল্প কারখানা গড়ে, তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা, যুবকদের উৎসাহী করণ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত ঋণ ইত্যাদির অভাবে উপজেলাগুলোতে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না। ফলে দিন দিন উপজেলাগুলোতে শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অপরাধ প্রবনতা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলাগুলোতে কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়ন সহ কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরী ভিত্তিতে নেয়া হবে, এমনই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।