মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর প্রতিনিধি দিনাজপুর:
শহরের প্রাণকেন্দ্রে লিলির মোড়ের বৈদ্যুতিক খুঁটির তারে দীর্ঘদিন যাবত জঞ্জালের স্ত্তপ ঝুলে থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
স্থানটি ৪ সড়কের সংযোগস্থল হওয়ায় অত্যন্ত ব্যস্ততম ও শহরের প্রধান মোড় হিসেবে চিহ্নিত। এই বৈদ্যুতিক তারের নিচ দিয়ে দিন রাত চলাফেরা করে শত শত বাস, ট্রাকসহ অসংখ্য রিক্সা, অটোরিক্সা ও পথচারী। মাঝে মধ্যে শর্টসার্কিটের কারণে ছোট খাটো স্পার্কিং হয়। তখন আগুনের ফুলকি বিকট শব্দে নিচের দিকে ঝরতে থাকে। আতংকগ্রস্থ পথচারীরা দিক বিদিক ছুটোছুটো করতে গিয়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। কেউ বা মুখ থুবড়ে পড়ে রাস্তায় আর কেউ বা পড়ে ড্রেনে। কারো ভাঙ্গে হাত-পা, কারো ফাটে মাথা। আর কেউবা সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়ে হুড়মুড়ি খেয়ে চিৎ হয়ে পড়ে রাস্তার উপর। প্রায় ৫ মাস যাবত এ অবস্থা বিরাজ করলেও দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এখনও ওই জঙ্গলের স্ত্তপটি তারের উপর ঝুলছে। এলাকার দোকানদাররা জানায়, তারের উপর থেকে এই জঞ্জালের স্ত্তপটি পরিস্কার করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এলাকার দোকানদাররা দর কষাকষির এক পর্যায়ে চাঁদা তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু অনেক দোকানদার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে তা থেকে জঙ্গলের স্ত্তপটি সরানো সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য যে, জেল সুপার সাহেবের বাড়ির গেটে যে, লতানো কাঁটাযুক্ত ফুলের গাছটি ছিল তা বড় হয়ে গেটের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের উপর বিস্তৃত হয়। পড়ে গাছটি কেটে ফেললে তারের উপর ঐ লতানো গাছটি শুকিয়ে ঝুলতে শুরু করে। যা আজ দোকানদারসহ পথচারীদের আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।