ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
দু’তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ডাকাতির পর রাজাপুরে এবার চুরির ঘটনা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের সরকারি দুই কর্মচারীর ভবনে চুরির এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা যুব উন্নয়নে ক্রেডিট সুপার ভাইজার মো. হুমায়ুন কবির বাদল ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলীরাজের বাসায় এ চুরি হয়।
চোর দুই পরিবারের চার ভরি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে দাবী করা হয়েছে।আলীরাজ বলেন, ঈদ উৎযাপনে আমরা ঘর তালাবন্ধ করে গ্রামের বাড়িতে যাই।রাতে কোন এক সময় চোর তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্নালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়। এসময় চোর ওই ভবনের বাকী ঘরগুলো বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে রাখে।
পরের দিন সকালে প্রতিবেশিরা তাদের ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বুঝতে পারেন দরজা বাহির থেকে বন্ধ আছে। এরপর ঘটনা প্রকাশ পায়। চুরির হওয়া ভবনের পাশেই থানা নির্বাহী কর্মকর্তারও বাসভবন রয়েছে।
ভবনের একাধিক বাসিন্দা জানান, উপজেলা পরিষদের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত এই আবাসিক ভবনে নিরাপত্তার কোন ব্যাবস্থা নেই। রাত নামলেই ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যেক ভবনে চারটি করে পরিবার বসবাস করে। এই এলাকায় ২০-২৫টি সরকারি কর্মকর্তার পরিবারের বাস। কিন্তু এখানে কোন নৈশ প্রহরী নেই এবং ভবনটির প্রধান দরজা থাকলেও তা নষ্ট অবস্থায় রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত মোট ছয়টি ভবনের মধ্যে একটি ভবন গত দুই-তিন বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে মাদকসেবিদের আড্ডা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। আর পরিত্যাক্ত ভবনের বিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম।
এব্যপারে রাজাপুর থানার পরিদর্শক মুনীর উল গীয়াস ঝালকাঠি সময়কে বলেন, ডাকাতির ঘটনা দুটিতে ডাকাতির ধারায় মামলা হয়েছে।
শনিবারের চুরির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি।