mail.google

শ্যামল কুমার বর্ম্মণ- চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে:

দেশে দুঃস্থ শব্দটা থাকবে না, কেউ না খেয়েও থাকবে না। দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে। একটি মানুষও যেন কষ্ট না পায় সেজন্য সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ এলাকায় মঙ্গা শব্দটা আর যাতে শুনতে না হয় এজন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হবে না। মঙ্গা থাকবে না। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যারা হতদরিদ্র কিনে খাওয়ার সামর্থ নাই তাদেরকে ১০টাকা কেজি দরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে যে সময়ে কাজ থাকে না সেই সব সময়ে বছরে ৫ বার চাল বিতরণ করা হবে। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। যারা গৃহহারা হয়েছে ঘর নাই, তারা ঘর পারে । কেউ বিনা চিকিৎসায় মরবে না। সকল ছেলেমেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। বুধবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’ উদ্বোধন করতে এসে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে খাদ্য বান্ধব এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। একে একে ফাতেমা বেগম, হালিমা বেগম, শ্রীমতি বাসন্তি রাণী, শ্রীমতি মালতি রাণী, জিয়ারা খাতুন, রশিদা খাতুন, আঃ হক, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বকর সিদ্দিক, আলিফ উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, মোস্তফা আলী, আঃ খালেক ও ফরিদ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এ চাল পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। মালতি রাণীর স্বামী ভবেশ চন্দ্র দাস জোড়গাছ মাঝিপাড়ার অধিবাসী। জমি-জমা নেই। মাছ ধরতে পারলে জোটে খাবার, না হলে উপোস। তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে টানা টানির সংসার। ১০ টাকার রেশন কার্ড পেয়ে সে আনন্দে উদ্বেলিত। বাসন্তির স্বামী মনোজ মাছ ধরে। তার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। রুপভান দু’বছর আগে আকস্মিকভাবে স্বামী নুর ইসলামকে হারিয়ে ২ ছেলে ৫ মেয়েকে নিয়ে পড়ে অথৈ সাগরে। সন্তানদের লালন-পালন করতে সে কাজ নেয় চাতালে। সে কাজও নেই এখন। এরকম দুঃখের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ রেশন কার্ড পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ যেন তাকে (শেখ হাসিনা) দীর্ঘজীবি করেন। এরকম নানা অনুভুতির কথা জানান, উদ্বোধনী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসুচীর আওতায় রেশন কার্ডধারী ৬৪জন উপকারভোগী।

প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টায় সভাস্থলে উপস্থিত হন। এ্র আগে তিনি হেলিকপ্টার যোগে চিলমারী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে এক কিলোমিটার দূরে সভাস্থলে আসেন। এসময় পথে পথে হাজার হাজার মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ভীড় জমায়। হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়। থানাহাট এ,ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্ধারিত আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি নিরাপত্তা বিভাগের লোকজন। সূধী সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষের সংকুলান হলেও লক্ষাধিক মানুষ বাইরে উদগ্রীব হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে মাইকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পেলেও এক নজর দেখতে না পাওয়ার বেদনা তাদেরকে ক্ষুব্ধ করে। ভোর থেকে রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া, রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখতে অপেক্ষা করে। তারা সভাস্থলে যেতে না পারলেও চিলমারীর শহরের পথে পথে খন্ড খন্ড মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী সোয়া ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশ ঘুরে দেখেছি। দেখেছি মানুষের দু:খ-দুর্দশা। ছিয়ানব্বই সালে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হয়েছে। আমাকে বাংলার মানুষ সুযোগ দিলে দেশে সব দূখী মানুষের মূখে খাদ্য তুলে দিতে চাই। মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কুড়িগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও নদী ভাঙনে যারা গৃহহারা হয়েছে। তাদের জমি দিবো। ঘরবাড়ি দিবো। যারা দরিদ্র-ক্ষুধার্ত তাদের মুখে অন্ন তুলে দেবার ব্যবস্থা করবো।

একদিকে আমরা দেশের দুর্ভিক্ষ দূর করার চেষ্টা করছি। অপরদিকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ জোট সরকার। পরপর কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনার পর মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যে আমরা জঙ্গিদের প্রতিহত করে উদ্ধার কার্যক্রম সফল করেছি। ইসলামে কোথাও মানুষ খুন করার কথা বলা নাই। যারা মানুষ খুন করে তারা ইসলামের লোক হতে পরে না। এদের সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। এজন্য জনমত তৈরি করতে হবে। আমাদের যুব সমাজ আমাদের সম্পদ তারা যাতে বিপথে না যায়, মাদকাশক্ত না হয় এজন্য বাবা-মা, শিক্ষক, নির্বাচিত প্রতিনিধি সকলের কাছে আবেদন আপনাদের সন্তানরা কে কোথায় যায় সে ব্যাপারে নজর রাখুন। তাদের কথা শুনুন।

আমরা আমাদের প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাই। আমারা বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছি। বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে হবে না। এছাড়াও শিক্ষা সহায়তা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও একটি স্কুলকে সরকারিকরণ করেছি। শিক্ষার্থীদের আধূনিক শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল চলে গেছে। মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানতে পারছে। সরকার ইউনিয়ন পর্যাৗয় ডিজিটাল তথ্য সেবার মাধ্যমে সেবা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য বিনা খরচে কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের যুব সমাজকে কর্মক্ষম করতে বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে বেকারত্ব দূর হয়। দেশের কৃষকদের সহায়তায় ৩ দফা সারের দাম কমিয়েছি। এজন্য ভর্তুকী দিয়েছি। ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট ও বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, চিলমারী বন্দরের পুরণো ঐতিহ্য ফিরে আনার জন্য কাজ করা হবে। চিলমারী থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কুড়িগ্রামের ১৬টি নদীর নাব্যতা দূর করার জন্য ড্রেজিং করা হবে। এজন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। এছাড়াও দ্বিতীয় ধরলা ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণে কাজ করা হচ্ছে। রেল সংযোগ আরো উন্নত করা হবে।

২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত-দারিদমুক্ত দেশ গড়ে তুলবো। এজন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে দিতে। আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করুন। আ’লীগের পতাকাতলে সমবেত হোন।

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চিলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এএম বদরুদ্দোজা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ এ কে এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ রুহুল আমিন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ জাফর আলী, আওয়ামীলীগের কেন্দ্র কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, রংপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ্ , চিলমারী উপজেলা আওয়ামীরীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ সরকার প্রমুখ।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ ভার থাকে। নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হয়।

আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ৭৪’এর চিলমারীর আলোচিত জালপড়া সেই বাসন্তির কথা উল্লেখ করে বলেন-এটি ছিল একটি ষড়যন্ত্র। কারণ মানসিক প্রতিবন্ধী বানন্তিকে জাল পড়িয়ে তৎকালিন বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিতর্কীত করার চেষ্টা করে। কু-চক্রী মহলের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। চিলমারীতে এখন আর মঙ্গা নেই ।বন্যা, খরাসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছে মানুষ। ষড়যন্ত্র নেত্রী হিসাবে খালেদা জিয়াকে ইংগিত করে বলেন-আপনাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। ২১ আগষ্ট মেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন জঙ্গিদের পক্ষ নিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। লাভ হবে না। তিনি কেরির সাথে আমেরিকার দুতাবাসে খালেদার দেখা করার সমালোচনা করে বলেন,‘ গ্রামে প্রবাদ আছে ঠগলে বাপকেও বলতে নাই’। আপনারা ঠকেছেন। এখন কেরীকে বলে লাভ কী । শেখের ব্যাটির গুন তিনি দল দেখেন না। তিনি মায়ের মমতায় বিভিন্ন জনবান্ধব কমূসুচি গ্রহন করেন। এতে দলমত নির্বিশেষে সবাই সুফল পায়।

সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘মুই বাহে তোমার মানুষ, বাড়ী মোর নীলফামারী।’ মোর হিংষা হয়, এক বছরে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে দু’বার আসল। আর আমি গত আট বছরে একবারও নলিফামারীতে নিতে পারি নাই প্রধানমন্ত্রীকে । কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের মানুষকে ভালবাসে। মঙ্গা দুর করাই ছিল তার লক্ষ্য। কুড়িগ্রাম তথা রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা এখন যাদুঘরে। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আওয়ামীলীগের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০টাকায় চাল খাওয়াবে। খালেদা বলেছিলেন জনগণের সাথে ঠাট্টা। তাই তিনি খাদ্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ১০টাকার একটি রেশন কার্ড খালেদা জিয়াকে পৌঁছে দেয়ার জন্য। তাহলে তিনি বুঝবেন হাসিনা মিথ্যা বলেন না। আগে বলাহত উত্তর বঙ্গের দিকে কেউ দেখে না। এ অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করেছেন হাসিনা।

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া সামাজিক নিরাপত্তা ব্যাস্টনীর অন্যান্য কর্মসুচীর সাথে যোগ হল খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’ এই শ্লোগান সামনে রেখে দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানী করে। আমরা নেপালসহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছি । নতুন এ কর্মসুচি ভুল ক্রটি ছাড়াই করতে চাই। এ জন্য চাই সবার সহযোগীতা ও পরামর্শ। প্রতি ৫০০ উপকার ভোগীর বিপরীতে একজন করে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করেন। তারপর আবার বলেন, আমি এরশাদের দল জাতীয় পার্টি করি। আমার দলের প্রেসিডেন্ট এরশাদ। এরশাদ দীর্ঘজীবী হোক। এসময় উপস্থিত সবাই হেসে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *