এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
সবুজ মানেই প্রকৃতি। প্রকৃতি মানেই প্রাণ। প্রকৃতি না থাকলে মানুষ থাকবে না। প্রকৃতি মানুষকে চলতে-ফিরতে-বেঁচে থাকতে শেখায়। জন্মের পর থেকে প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে মানুষের। সেই সখ্যতা থেকেই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৫নং ভাবকী ইউনিয়নের সাবেক গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নান্দনিক বাগান তৈরী করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।

সরেজমিনে ঐ স্কুল গিয়ে কাঁটা মেহেদী গাছ দিয়ে তৈরী প্রবেশ গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে নান্দনিক বাগান। বাগানে রয়েছে গাছ দিয়ে তৈরী সুসজ্জিত গেট, বেড়া ও বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থাপনা গুলো হল শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা, হেলিকপ্টার, বসার স্থান, শাপলা ফুল, ঘরের ছাউনি, প্রভৃতি। সব কিছুর সবুজ রং-এ তৈরি হয়েছে অপরুপ দৃশ্য। এতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে পাচ্ছে মনোরম পরিবেশ। ফলে পড়াশোনার ফাঁকে তারা অবসরে বাগানে সময়ে কাটাতে পারছে। সাথে দর্শনার্থীরাও ঘুরতে আসে এ স্কুলে।

জানা যায়, ঐ বিদ্যালয়ে বাগান থাকলেও ২০১৭ সালে আব্দুল কুদ্দুস পরিকল্পিত ভাবে নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয় ভবনের পাশে গড়ে তুলেন বাগান। এর মধ্যে বিগত বছরে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাগানের পরিধি বৃদ্ধি করেন এবং গ্রীলের মাধ্যমে বাগানটি সুরক্ষিত করেন ঐ শিক্ষক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি প্রকাশ হলে তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে অনেকেই ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান। আী দেখতে ভিড় করছে দূর-দূরান্তের অনেকেই। ফলে প্রশংসায় ভাসছে স্কুলের এই দৃশ্য।

এই বাগানের রুপকার ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ছোট বেলা থেকেই বাগানের প্রতি আগ্রহ। সেই আগ্রহ থেকেই স্কুল চত্বরে বাগান তৈরী করেছি। এই বাগানে বিভিন্ন প্রতীক ও স্তম্ভ তৈরী করি। তিনি আরো বলেন, এই বাগানের পরিধি ও মান বৃদ্ধি করতে আর্থিকা সহযোগিতা প্রয়োজন।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাগানের দৃশ্য ও ডিজাইন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যা প্রশংসনীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *