মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
গ্রামের জমিতে কৃষকের হালচাষ৷ পেছনে পেছনে শিশু- কিশোরের মাছ ধরার দৃশ্য৷ এ যেন অতীত স্মৃতি৷ মাঝে মধ্যে এই দৃশ্য অনেককে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ বর্তমান পরিবর্তনের হাওয়ায় লাঙ্গল আর বলদের জায়গায় ঠাঁই হয়েছে যান্ত্রিক লাঙ্গল, পাওয়ার টিলার৷ তবুও রয়েছে মাছ ধরার এই দৃশ্য৷
উপজেলার আব্দুলপুর ,সাতনালা, সাইতীড়া, ইসবপুর , আউলিয়াপুকুর ও আলোকডিহি ইউনিয়নের কোন কোন জায়গায় এখনও মান্ধাতা আমলের হালের বলদে জমি চাষাবাদ চলছে৷ একসময় এই হালচাষে পেছনে পেছনে হেটে ছোট ছোট দেশি মাছ ধরতেন৷ আর তা রাখতেন ডালি বা কোমরের গোছায়৷ ফলে তাদের মাঝে আনন্দের শেষ থাকতো না৷
শিশু-কিশোর আর বাড়ি বধূরা পছনে হেটে হেটে পুটি, ডাইরকা, গচি, টাকি, চিংড়ি প্রভৃতি দেশি মাছ ধরেন৷ এসব মাছ আগের মতো পাওয়া যায়না বলে মন্তব্য করেন তারা৷ কারণ অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে দেশি মাছের প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ যেটুকু আছে তা প্রচন্ড গরমে মরে পানিতে ভেসে উঠছে৷ নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর সেচ দিয়ে শুকিয়ে মাছ মারার কারণেও এসব মাছের বংশ বিস্তর হচ্ছে না৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান জানান, ফসলেল পোকা-মাকড় দমনে কৃষকদের পরিমিত কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপায়ে পার্চিং, আলোর ফাঁদ, ধৈঞ্চা গাছ পুঁতে রাখা ইত্যাদি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে৷ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল রহমান জানান, দেশি মাছ রক্ষায় মাছ চাষি ও কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে৷ এবং জেলেদের এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷