download (2)
বিশেষ প্রতিবেদন
২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর ট্রাজেডির ৭ বছরেও পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য আজও জাতি জানতে পারে নাই বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য জানতে না পারা জাতি হিসাবে আমাদের ব্যর্থতা। হত্যাকান্ডের রহমস্য উৎঘাটনে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কেন জাতির সমানে প্রকাশ করা হলো না, কি তার রহস্য।

আজ রবিবার সকালে রংপুরের ধাপে দলের মহানগর কার্যালয়ে ‘বিডিআর ট্রাজেডি সস্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ রংপুর মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় মহানগর ন্যাপ নেতা মোঃ আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা জেবেল রহমান গাণি, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল আলম, ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক শাহ আজিজুল ইসলাম, নগর সদস্য ময়নাল হোসেন, যুবরাজ চৌধুরী, মোঃ আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ আলী সাহেব, মোঃ বাহাদুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, বিডিআর ট্রাজেডির মত এতবড় একটা ষড়যন্ত্রের রহস্য আজও উৎঘাটন করা সম্ভব হয়নি জাতির জন্য এটা লজ্জাাজনক। কেন এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ড, কি তাদের অপরাধ ? বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্ববৌমত্ব আর সীমান্ত রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী বিডিআরকে কারা ধ্বংস করে দিল এর রহস্য উৎঘাটন করা আজ সময়ের দাবী। তানা হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, বার বার দাবী করা সত্ত্বেও সরকার কেন ৭ বছরেও পিলখানা হত্যাকান্ডের ২৫ ফেব্রুয়ারীকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা করছে না ? দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই উচিত পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য জাতির সামনে উম্মোচন করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসেও এতবেশী সামরিক বাহিনীর সদস্য শহীদ হননি। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন দেশের রাজধানীতে একে একে ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। তাদের অনেকের পরিবারকে লাঞ্চিত ও অপমানিত করা হয়। তিনি বলেন, এই নৃশংসতা ও বর্বতায় প্রমানিত হয় পিলখানায় সেনাহত্যাকান্ড শুধু “ডালভাতের“কথিত বিদ্রোহ ছিলেনা। এটি ছিলো দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত, এর পেছনে ছিলো এবং আছে সুগভীর ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা শুরুতেই সরকার সেনাবাহিনীকে একটি ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছে যাতে সেনাবাহিনী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেও মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস না পায়।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আসলাম হোসেন সরকারকে অবিলম্বে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোকদিবস ঘোষণা করা ও পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের পর গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এবং সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গঠিত তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করার জোর দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *