রাণীশংকৈল প্রতিনিধি॥
ঠাকুরগাও পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির লাইন নির্মান কাজে অনিয়মভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ এনে রাণীশংকৈল উপজেলার এলাকা পরিচালক নাসিরের বিরুদ্বে বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ এনেছেন উপজেলার ভাংবাড়ী গ্রামের তানজিল হোসেন। জেলা প্রশাসক,জেলা পরিষদ প্রশাসক,উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউএনও, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাংবাড়ী গ্রামের তানজিল হোসেন গত ১সেপ্টেম্বর/২০১৪ ইং সালে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশক্রমে ঠাকুরগাও পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনটি পীরগঞ্জ পল্লী বিদ্যূতের জোনাল অফিসে ডিজিএমের কাছে ৬৭২ পত্র পাপ্তি নং এ গৃহীত হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরে আর আর ডিপি-২ প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দে ঐ গ্রামে ২ কিঃ মিঃ লাইন নির্মানের অনুমোদন হয়।
এ অনুমোদনকে পুজি করে এলাকা পরিচালক নাসির ঐ গ্রামের লোকজনের কাছে গিয়ে দ্রুত লাইন করে দিবে মর্মে বিপুল অংকের টাকা দাবী করে। তার মনোনীত দালল হযরত আলী, রহিমকে দিয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষাধিক টাকা । এখন প্রর্যন্ত একটি খুটিও স্থাপন না করে আরও টাকার জন্য গ্রামবসিকে তাগিদ দেন। সরকারী বরাদ্দে এত টাকা কেন লাগবে জানতে চাইলে আজীবন ঐ গ্রামে বিদ্যূৎ সংযোগ হবে না বলে তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। গ্রামবাসী এটির একটি সঠিক সুরাহা চাই। ভাংবাড়ি গ্রামে সরকারী বরাদ্দের মাধ্যমে প্রায় ১০০টি আবাসিক ২২টি সেচ পাম্প, ১৬টি বাণিজ্যক ও ২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে সংযোগের খুটি, ট্রান্সফরমার এবং গ্রাহকের মিটার স্থাপনের স্থান প্রর্যন্ত বিনামূল্যে সার্ভিস ড্রপের তার পৌছে দেওয়া হবে এই বরাদ্দের মাধ্যমে। এদিকে বিদ্যূৎ অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারী বরাদ্দের সংযোগ পেতে সম্বন্বয়ে গ্রাহককে মিটার জামানত, ওয়ারিং নিজ খরচে করতে হবে যা মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হবে। এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, এলাকা পরিচালক নাসির উপজেলার ভরনিয়া, আনসারডাঙ্গী সহ বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের আদলে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রাহকদের জিম্মি করে আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসির জোর দাবী।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাও পল্লী বিদ্যূ সমিতির জিএম খালেকুজ্জামানের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।