মোরশেদ মানিক, বিরামপুর(দিনাজপুর) থেকে:
দিনাজপুরের বিরামপুরে ছুরিকাঘাতে স্কুল শিক্ষার্থী গুরুতর আহতের ঘটনায় অটোরিক্সাচালক ইফতেখার (২৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। আটক ইফতেখার উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। আহত শুভ বাবুর চাচা সিরাজুল ইসলাম জানান, ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কেটরা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ বাবু (১৭) প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়তে স্কুলে এসেছিল। এ সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কেটরাপাড়া এলাকার শরিফ উদ্দিন বাবুর ছেলে নাফিম হোসেন (১৫) প্রতিবেশি সাজু হোসেনের ছেলে ইফতেখার (২৩)সহ বেশ কয়েকজন লাঠি ও ছুরি হাতে উপজেলার দেউল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে শুভ বাবুর উপর আক্রমন করে। নাফিম তার হাতে থাকা ছুরিদ্বারা শুভ বাবুর বুকের নিচে আঘাত করে দলবলসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এতে শুভ বাবু রক্তাক্ত গরুতর আহত হয়ে স্কুলের গেটের উত্তর পাশের দোকানের র্দকানের লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নেয়। কর্তব্যরত
ডাক্তার অবস্থার বেগতিক দেখে দ্রুত রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। শুভ বাবুর অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে তার বাবা মুঠোফোনে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলার ধনসা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সর্দার
ও ছুরিকাহত শুভ বাবুর সহপাঠি সৌমিকসহ অনেকে জানান, শুভ বাবু সহপাঠি এক কিশোরীকে প্রায় নাফিম হোসেন উত্যক্ত করে আসত। এ বিষয়ে শুভ বাবু প্রতিবাদ করলে নাফিম, ইফতেখারসহ বেশ কয়েকজন আজকে সকাল ৮টায় কেটরা উচ্চবিদ্যালয় গেটে এ ঘটনা ঘটায়। তারা আরও জানায়, আটক ইফতেখার,নাফিম ও নাফিমের বাবা শরিফ উদ্দিন বাবু এবং শাকিল মাদকের সঙ্গে জড়িত। জোতবানী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য শাহাজান
আলী মন্ডল জানান, আমি অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমার এই বিদ্যালের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ দৃষ্টান্ত শান্তির দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বিরামপুর থানায় জানালে, বিরামপুর থানা সেকেন্ড অফিসার এস.আই এরশাদ মিয়া সঙ্গীয়ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনারসাথে জড়িত এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে ইফতেখারকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে
বিরামপুর থানায় ৪জনকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে শুভ বাবুর চাচা সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত জানান, ইফতেখার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আহত শুভ বাবুর চাচা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। অভিযুক্তদের দ্রæত
গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।