ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ
ভারত থেকে এবার পাচার হচ্ছে গরুর মাংস। বাংলাদেশী কসাইরা বিপাকে।
ভারত থেকে চোরাই পথে আসছে গরুর বদলে মাংস সীমান্ত এলাকার হাটবাজার গুলোতে মাত্র ২০০ থেকে ২২০ টাকায় এই ভারতীয় মাংস বিক্রি হওয়ায় দেশী কসাইরা পড়েছে বিপাকে। জানাগেছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভোটহাট,কাঠগীর,শালঝোড়,বাঁশজানী,দিয়া ডাঙ্গা,পাথরডুবি সীমান্ত দিয়ে একশ্রেনীর কালোবাজারীরা গরুর মাংস আমদানী করে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি মাংস বিক্রি করছে। এ সব মাংসের দাম বাজার বাজারের মাংস থেকে অধিক সস্তা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে হাটবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। ভারতীয় মাংস সস্তা হওয়ায় গুনগত মান না ভেবে চোরাই মাংস ক্রয় করার ফলে হাটবাজারে মাংস বিক্রি কমে যাওয়ায় কসাইজীবিরা পড়েছে বিপাকে। ভারত থেকে মাংস পাচারের কারন হিসাবে জানাগেছে সীমান্তে একশ্রেনীর অসাধু চোরাকারবারীরা ভারতে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে এনে উপজেলার সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম সহ সদরের সাধারন মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করছে। চোরাকারবারীদের পাচার করে দেয়ার সময় যে সমস্ত গরু রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হাটতে পারেনা অথবা বিএসএফের বুলেটের আঘাত প্রাপ্ত অথবা ককটেল ছোড়া আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়া গরুগুলোকে ভারতের চোরাকারবারীরা ভারতীয় সীমান্তে জবাই করে বাংলাদেশের চোরাকারবারীদের নিকট ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি করছে। বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা ঐ মাংস স্থানীয় হাটবাজার ও বাসা বাড়িতে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে প্রতিকেজি মাংস বিক্রি করায় হাটবাজারে দেশী মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশঢী কসাইরা বিপাকে পড়েছে। ১৪/১৫ দিন পুর্বে চোরাকারবারীরা ভুরুঙ্গামারী হাটে ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি করার সময় স্থানীয় কসাইরা মাংস আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে ঐ আটককৃত মাংস পুকুরে ফেলা দেয়া হয়। মাংস আটকের পরেও চোরাকারবারীরা বর্তমানে হাটে বাজারে মাংস না এনে সাইকেলযোগে বাসায় বাসায় মাংস পৌছে । এ ব্যাপারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডাঃ বজলার রহমান জানান,ভারতের যেকোন মাংস না খাওয়াই ভাল। কারন এই রোগাক্রান্ত গরুর মাংস খেলে এ্যানথ্র্যাক্স,জলাতঙ্ক,্এ্যাজমা,টাইফয়েড ডায়রিয়া সহ বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অনতি বিলম্বে ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিজ্ঞ মহল।