ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। যতই দিন যাচ্ছে এ জনপদে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। গত তিন দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত পড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষের।
২৩ ডিসেম্বর ( শুক্রবার ) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
সন্ধ্যা থেকে পর দিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভূরুঙ্গামারী । কমছে বাতাসের আর্দ্রতা আর বাড়ছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি। ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন গুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, শিশু ও বয়স্করা।
শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে সময় মত কাজে যোগদিতে পারছে না শ্রমিকরা। গবাদী পশু ছাড়াও অন্যান্য প্রাণিকুল শীতের প্রকোপে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গোটা উপজেলার ছিন্নমুকুল মানুষের রাতদিন কাটছে যুবুথুবু অবস্থায়।
শীতের তীব্রতা নিবারনে সরকারী কিংবা বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যার ফলে এ অঞ্চলের ছিন্নমুকুল মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের শরিফুল, লাইলি, মজনু, নজরুল ইসলাম ও আম্বিয়া বেগম বলেন, আমরা সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করি। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বন্দরে পৌঁছাতে হয়। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে অটো নাই। কাজে যোগ দিতে কষ্ট হচ্ছে।
অটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে অটো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সকাল বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীও কমে গেছে। কুয়াশা বাড়লে আয় কমে যাবে। খুবই সমস্যায় পড়বো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলায় প্রথম পর্যায় ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ১০টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, ২৩ ডিসেম্বর ( শুক্রবার ) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জেলার তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।