ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে সাদা পোষাকধারী পুলিশ এক চা দোকানীকে আটক করে পৌণে চার ঘন্টা থানা-হাজতে আটকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তি দিয়েছে। ঘটনাটি বুধবার উপজেলার ফুটানীবাজারের চা দোকানী চাঁনশিকারী গ্রামের দুরুল হোদার ছেলে আব্দুর রাকিবের চা দোকানে। ইফতারের পর পর ৭টার দিকে সাদা পোষাকে এসআই সিরাজুল ও এএসআই এরশাদসহ ২জন কনষ্টেবল আব্দুর রাকিবের চায়ের দোকানে অর্তকিত হামলা চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে গাঁজা খুঁজাখুজি করতে থাকে। হতবাক চা দোকানী রাকিব সাদা পোষাকধারী পুলিশের আচরণে আতংকিত হয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের লোক এবং গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তোমার দোকানের বিভিন্ন স্থান তল্লাশি করছি বলে তাকে জানায়। দোকানের কোন স্থানে গাঁজার সন্ধান না পেয়ে তাদের কথিত সোর্সকে ফোনের মাধ্যমে জেনে ১৩ পুরিয়া গাঁজা ফ্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে রাকিবের বাবা দুরুল হোদার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে রাকিব বাধা দেয় এবং অসুস্থ্য বাবার পরিবর্তে ছেলে রাকিবকে আটক করে থানায় নিযে যায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার লোকজন রাকিবকে ছাড়াতে থানায় ছুটে যায়। এলাকার লোকজন জানান, রাকিব গাঁজা তো দুরের কথা বিড়ি-সিগারেট পর্যন্ত খায়না অথচ পুলিশ অসৎ ব্যক্তিদের যোগসাযোসে গাঁজা বিক্রির নাটক সাজিয়ে রাকিবকে আটক করে থানা হাজতে আটকে রাখে। পরে এলাকাবাসি থানায় দেন-দরবার করে রাত পৌণে ১২টার দিকে দরকষাকষির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খালাস করে নিয়ে যান চা দোকানী রাকিবকে। এ ব্যাপারে এএসআই এরশাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন এবং সরাসরি প্রেসক্লাবে এসে কথা বলতে চান। একই ব্যাপারে এসআই সিরাজের সাথে কথা বললে তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ভুল তথ্য সরবরাহকারী ব্যক্তি অন্য অফিসারের লোক ছিলো বলে জানান। তবে এ বিষয়টি এসপি’কে জানিয়ে একটি জিডির মাধ্যমে রাকিবকে ছেড়ে দেয়ার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।