হারুন উর রশিদ সোহেল রংপুর## রংপুর মহানগরীসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গত ৪ দিন ধরে শীত ও কুয়াশায় জন জীবন কাপু হয়ে পড়েছে। মাঘ মাসের শুরু ও গত সপ্তাহ থেকে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ভোর থেকে বিকেল এবং আবার কোথাও কোথাও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাপমাত্রা কমা বাড়ায় সূর্যের দেখা মেলছে না।
শীতে চরম বিপাকে পড়ছে চরাঞ্চলের ছিন্নমুল ,বাস্তুহারা ও নি¤œ আয়ের মানুষজন । ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হওয়ায় পশু পাখি বৃদ্ধ,মানুষ এবং শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে শীত জনিত রোগ।বিশেষ করে চরঞ্চলের মানুষ শীতে আরো কাহিল হয়ে পড়েছে। তারা অনেক কষ্টে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছে।শীতে কাতর অসহায় মানুষ তারা সমাজের বৃত্তমান মানুষ সহ সরকারী ভাবে শীতবস্ত্র, কম্বল,চাদর বিতরনের কথা বলচ্ছেন।
রংপুরের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান,শীতের শুরুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে পাচঁ হাজার শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। তবে নতুন করে শীতবস্ত্রের চাহিদা ত্রান মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।এটি আসলে বিতরণ করা হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুত্রে জানান গেছে অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে পালা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ শীত-জনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও। গত এক সপ্তাহে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধুমাত্র শীত-জনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে অন্তত ৮ শতাধিক। এছাড়া জেলার আশপাশের উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে স্থানাভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে বেড সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বেডের অভাবে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর লোকজন।এদিকে শৈত্যপ্রবাহের ফলে আলু ও শীত কালীন সবজি চাষে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শীতের কারনে প্রতিদিন আলু ও সবজির জমিতে শীতকাটানের কীটনাশক ও ভিটামিন ওষুধ যেমন থিয়োভিট,করোলাস,পাওয়ার ইন্দ্রফিল,ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে।
রংপুর ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান,শীতের প্রথম পর্যায়ে সাড়ে পাচঁ হাজার শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন করা হয়েছে।নতুন করে আবার চাহিদার পরিমান পাঠানো হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মাদ আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে রংপুর অঞ্চল সহ রংপুর বিভাগের শীত ও কুয়াশা বেড়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকালে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গতকালের তাপমাত্রা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।