ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মাদকদ্রব্যে ভাসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা ভোলাহাট। ৩৬ কুখ্যাত মাদক সম্রাটের খুঁটির জোর কোথায়, এ নিয়ে চলছে প্রকাশ্যে-গোপনে এলাকার মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন। ছোট্ট একটি উপজেলা ভোলাহাটের সোয়া লাখ মানুষের মধ্যে ৩৬ জন মাদক সম্রাটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এলাকার সকলে মাদক ব্যবসা বিষয়ে জেনেও কিছুই করতে পারছে না। এলাকার মানুষের কাছে মাদক বিক্রয়ের খবর থাকলেও স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীর মধ্যে রয়েছে পুলিশ. বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের কাছে কি কোন খবর নেই ? নাকি তারা রহস্যজনক কারণে নিজেদের লাভবান করে সমাজ ও জাতিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের ভয়াবহ জগতের অতল গহ্বরের দিকে। অনুন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় পুলিশের সাথে এ ম্াদক সম্রাটেরা মোটা অংকের মাসিক চুক্তিতে মাদক ব্যবসা করে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশী চুয়ানীসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রয়ের জন্য ৮/১০ বছরের দরিদ্র শিশুদের পর্যন্ত ৩ বেলা পেট ভর্তি খাবারের লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন মাদক বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। এক পর্যায়ে ঐ ছোট্ট শিশুটিও জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা ও হিরোইন সেবনের দিকে যা প্রত্যক্ষ করা গেছে। এ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচারের জন্য দরিদ্র নির্যাতিতা নারীদের নামকাওয়াস্তে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করে মাদক পাচার অব্যাহত রেখেছে। । এ ছাড়াও দেশী বাংলা চৌলাই মদ(চুয়ানী) ও গাঁজা ব্যবসায়ীরা গোঁজে উঠেছে ব্যাংগের ছাতার মত। এ সব মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ, বিজিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ফেনসিডিল, হিরোইন, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসা কি ভাবে এবং কোন ঐশি শক্তির বলে করে থাকে এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তবে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা, দেদারসে তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোন ভ্রক্ষেপ নেই। এদিকে যেসব ছোট ছোট শিশুদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভাবে মাদক বাবসা করাচ্ছে তারাও ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে লক্ষ্য করা গেছে । গত ২৭ জুন বীরেশ্বরপুর ক্লাব বাজারের আব্দুর রশিদের ছেলে রোকন(৮) এক আমবাগানে ইয়াবা সেবনের সময় এলাকাবাসি তাকে হাতেনাতে আটক করে। মাদকের বেপরোয়া ছড়াছড়িতে এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবিরা বেকায়দায় পড়েছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা সেবনের জন্য বিভিন্ন আমবাগানে প্রকাশ্য দিবালোকে সমান তালে মাদক বিক্রয় করলেও দেখার যেন কেউ নেই। এদিকে শত শত পরিবার ধ্বংস হতে বসেছে, তাদের ছেলেদের মাদকের নেশার রাজ্যে প্রবেশ করায়। ভুক্তভুগি পরিবারের সদস্য ও এলাকার সচেতনমহল দ্রুত মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভোলাহাট উপজেলার মানুষকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন আইন-শৃংখলা বাহিনীকে এগিয়ে আসার জোর দাবী জানিয়েছেন । এ সব ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিয়ে এলোমেলো বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *