রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাও ) সংবাদদাতা ঃ
দেশে যাত্রা শিল্পের চলছে দূরদিন মালিক পক্ষ লোকসানে, শিল্পের অভিনেতারা না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে বিভিন্ন স্থানে রাত্রী যাপন করছে দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শ্বারদ্বীয় দূর্গা পূজার সপ্তমী হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত হচ্ছে যাত্রা মৌসুম । সরকার এ শিল্পের জন্য ২০১২ সালে ৩০ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করে নীতিমালা তৈরি করেছে । নীতিমালায় উল্লেখ্য রয়েছে যাত্রা মৌসুমে যেন যাত্রা দলের ব্যাঘাত না হয় সে সংশ্লিষ্ঠ্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে যাত্রা শিল্প দেশের কোথাও মঞ্চায়ন হচ্ছে না বলে যাত্রা উন্নয়ন পরিষদ সূত্রে যানা গেছে। ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া মেলায় রয়েছে চৈতালী অপেরা, রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার গ্রোয়াস মার্কেটে রয়েছে শতরুপা শিল্পী গোষ্ঠী, মহারাজা হাটে আদি রংমহল অপেরা, গড়েয়ার কালির মেলায় ডায়মন্ড অপেরা, আটোয়ারী মেলায় অঞ্জলী অপেরা, কাহারোলে মঞ্জুশ্রী অপেরা, দশমাইলে দিক বিজয় অপেরা, কান্তজিউ মেলায় ভোলানাথ অপেরা ও আদি বঙ্গশ্রী অপেরা বসে রয়েছে। যাত্রা মঞ্চায়নের অনুমতি না থাকায় এমনি ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রা শিল্পের ম্যানেজার, অভিনেতা, নৃত্য শিল্পীরা অর্থের অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে বেঁচে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কথা হয় ডায়মন্ড অপেরার নৃত্য শিল্পী নিশি, শতরুপা শিল্পী গোষ্ঠী নৃত্য শিল্পী স্বপনা রানী, মডেল কন্যা আলো, দিক বিজয় অপেরার শান্তা, স্বপনা অপেরার ইভা রানীর সঙ্গে তারা বলেন, সাংবাদিক ভাই আমাদের খারাপ দিগগুলো শুধু পত্রিকায় ছাপা হয় কিন্তু ভালো দিগ ও বর্তমান এ অবস্থার কথা গুলো ছাপা হয় না। আমরা মালিকের কাছে বায়না স্বরুপ টাকা নিয়ে পরিবারকে দিয়ে এ চাকুরীতে যোগদান করেছি। আর যাত্রা চললে এ অর্থ দিয়ে নিজে চলবো। কিন্তু যাত্রা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে কোন রকম দিন চলছে। এ ব্যাপারে শতরুপা শিল্পী গোষ্ঠীর (সিরাজগঞ্জ) পোঃ আব্দুস সত্তার বাবলু বলেন, যাত্রা শিল্পী ও অভিনেতাদের নগদ কিছু অর্থ দিয়ে প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন মেলার সভাপতি- সম্পাদকদের সাথে চুক্তি করেছি কিন্তু সরকারী ভাবে যাত্রা চালানোর অনূমতি না থাকায় আমরা এ দূর্বিসহ অবস্থায় পড়ে রয়েছি । তিনি আর ও বলেন, এ শিল্পে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের রুজি রোজগার হয় এবং কি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহায্য দেওয়া হয় তা আজ বন্ধ। এ দিকে যাত্রা শিল্পের এ দূরদিনের কথা প্রসঙ্গে যাত্রা উন্নয়ণ পরিসদ সভাপতি মিলন কান্তি দে বলেন সম্প্রতি ডিসেম্বর মাসে দিনাজপুরের কান্তজিউ মেলায় বোমা বিস্ফোরনের কারনে যাত্রা বন্ধ রয়েছে কিন্তু এটা ঠিক নয়। এ জন্য আমরা ঢাকা জাতীয় প্রেস কাবে মনব বন্ধন করেছি। এর পর ও না হলে যাত্রা শিল্প বাঁচিয়ে রাখার আন্দোলন করা হবে। শিল্প কলা একাডেমির সহকারী পরিচালক মোস্থফা আলম মাসুদ বলেন, এ শিল্পের নিবন্ধনের বিষয়টি আমরা দেখি কিন্তু স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে সুস্থ যাত্রা প্রদর্শনীর অনুমোদন দেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তার কারনে যাত্রা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হচ্ছেনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *