হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর থেকে
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রংপুর মহানগরীর আলমনগর এলাকার বিহারি ইস্পাহানি ক্যাম্পের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে কয়েক দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে আলমনগর এলাকার ইস্পাহানি ২ ও ৩নং ক্যাম্পের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ওইদিন রাতে ৩নং ক্যাম্পের লোকজনেরা ২নং ক্যাম্পের লোকদের উপর হামলা চালায়। এতে ২ নং ক্যাম্পের টনির ছেলে সাগরসহ (১৮) অন্তত ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে সাগরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার উভয় পক্ষে দিনভর বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে উভয় ক্যাম্পের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় পৃথক দু’টি মামলাও করা হয়। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে স্থানীয় ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজ্জাক মন্ডলের আহ্বানে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তার আগেই সকাল ১০টার দিকে ২নং ক্যাম্পের লোকেরা একত্রিত হয়ে ৩নং ক্যাম্পের লোকজনের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপি চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন। এ সময় কয়েকটি দোকানসহ রিকশা, ভ্যান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে ২নং ক্যাম্পের কয়েকজন নারীসহ সাজিদ (২৫), আনোয়ার (২৬), নওশাদ (২৪) ও সামি (৫০) ও ৩নং ক্যাম্পের শাহাজাদা (২২), গোলাম রব্বানীসহ (৪০) দু’পক্ষের ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় তুমুল উত্তজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সেখানে।
এব্যপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ) আতাউর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ##