রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ৭ জুন শুরু হয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মাহে রমজান। রমজানের মধ্যপথ পেরিয়ে যেতে বসেছে। কমছে না সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। যে কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকারি তথ্যমতে সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে কিন্তু তা কাজে আসছে না। প্রতি বছরের ন্যায় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মহল রমজানকে পুঁজি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করছে।
একমাত্র চালের দাম ছাড়া খেজুর, মসুর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো মরিচ সহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম দেড় থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। ৪০ টাকার চিনি ৬২ টাকা, ২০ টাকার পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা ২০০ টাকা, ৬০ টাকা দামের ছোলা ৮৪ টাকা, শুকনো মরিচের দাম ১৬০ টাকা থেকে রমজানে ২৫০ টাকা দামে বিক্রী হচ্ছে। মাছের বাজারে আরেক মহাকান্ড, ট্যাংরা মাছ ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, সিং মাছ ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা এভাবে প্রতিটি মাছের দামে আগুন লেগেছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার অনেক বাইরে। অর্ধেক রমজান পেরিয়ে গেলেও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)’র কোন গাড়ি সেরমক দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার প্রধান সড়কে টিসিবির ট্রাকে একদিন মাত্র ৫২ টাকা দরে চিনি বিক্রী করতে দেখা গেছে । চিনি ছাড়া অন্য কোন নিত্যপণ্য বিক্রী করা হয়নি।
লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট দৈন্যতা বেড়েছে অনেকগুন। বাজারে জরুরী ভিত্তিতে মনিটরিং করে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরী বলে মনে করেন সুধিমহল।