রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)সংবাদদাতা
কুড়িড়গ্রামের রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্ত হাট (বর্ডার হাট) ব্যবস্থাপনা কমিটির মাঝে আনুষ্ঠানিক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে বর্ডার হাটে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে হাটের নানা সমস্যা, নতুন করে আরো কিছু পন্য সামগ্রী ও উৎপাদিত এলাকা বাড়ানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ওয়েস্ট হিল এর ডেপুটি কমিশনার রাম সিং।
হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল লতিফ খান জানান, সীমান্ত হাটের যাত্রা শুরুর সময় উভয় দেশের ২০টি করে স্থানীয় পণ্য সামগ্রী কেনাবেচার অনুমোদন ছিল। এ বৈঠকে আরো ১০টি পণ্য বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে একজন ক্রেতা আগে কিনতে পারত একশ’ ডলারের মধ্যে। এখন সেটা বাড়িয়ে দেড়শ’ ডলার করা হয়েছে। হাটের আশপাশ ৫ কিলোমিটারের মধ্যে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী হাটে বেচাকেনা করা যেত। এখন সেটা বাড়িয়ে ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১১ সালের ২৩ জুলাই রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্তে গড়ে ওঠা সীমান্ত হাটটির যাত্রা শুরু হয়। আর্ন্তজাতিক মেইন পিলার ১০৭২ এর ১৯ টি পিলারের নিকট ভারতের কালাইরচর এলাকায় নো-ম্যান্স ল্যান্ডে দেড় শত গজের মধ্যে ৪ বিঘা জমির ওপর সীমান্ত গড়ে তোলা হয়। হাটে উভয় দেশের ২৫জন করে বিক্রেতার জন্য ৫০টি কক্ষ রয়েছে। হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা তাদের নিজ নিজ মুদ্রায় কেনাকাটার সুযোগ পেয়ে থাকেন।