রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি নদী গর্ভে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ, মৃত্যুফাঁদ তৈরী হচ্ছে জনগণের। সুবিধা ভোগ করছে সুবিধাবাদীরা প্রশাসন নীরব।
‘জš§ হলে মৃত্যু অনিবার্য’ তবে অস্বাভাবিক মৃত্যু অগ্রহণযোগ্য। যা মানতে কষ্ট হয় সকলের। কুলিক নদী থেকে বালূ উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশে অনাকাঙ্খিত গভীরতা সৃষ্টি হয়। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারী নদীর পাড় ধ্বসে সন্ধ্যারই গ্রামের মোঃ খলিলের দুই ছেলে নান্নু (১৩) ও নাহিদ (১১) পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ধরনের জল ডুবির ঘটনার পরেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। অবৈধভাবে বালূ উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দেওয়া হয়নি কোন ধরনের শান্তনা। তাছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভেঙ্গে নদী ভরাট হয়ে বছরের সিংহভাগ সময় পানি শূন্য হয়ে থাকে। পাড়ের জমি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে অনেক অসহায় জমির মালিক চাষাবাদ করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। থেমে নেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আর যেন বালু উত্তোলন করা না হয় সেদিকে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সুধিমহল।