লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে জুয়া খেলার অভিযোগে লালমনিরহাট বৈশাখের মেলা থেকে রবিউল ইসলাম খাঁন (২৫) ও শ্রী পোল্লাদ মেকার (৪১) নামে দুই জনকে আটকের পর পুলিশের হেফাজতে রবিউল নামে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

আর এই ঘটনায় জেলা সদরের মহেন্দ্রনগরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। এসময় অবরধকারীরা পুলিশের একটি গাড়ী ভাংচুর করে।

১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার চকেরথান নামক জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল ইসলাম খাঁন লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীরচওড়া এলাকার দুলাল খানের পুত্র।
এবং আটক অপরজন পোল্লাদ রায় দক্ষিণ হিরা মানিক এলাকার মৃত রস্নি চন্দ্রের ছেলে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার ১লা বৈশাখের বৈশাখী মেলা চলছিল। এসময় সেখানে কিছু জুয়ারী ডাবু নামক জুয়া খেলা বসালে এক ব্যাক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে সেখানে পুলিশ এসে জুয়ারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে,পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেলায় ঘুরতে আসা শ্রী পোল্লাদ মেকার ও রবিউল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে।

স্থানীয়রা আরো জানান, পুলিশ আটক দুজনকে ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে রবিউল ভ্যানে উঠতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশ তাকে বেদম মারপিট করে। এতে রবিউল সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে পাজা কোলা করে তাদের ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের নির্যাতনের কারনেই রবিউল অসুস্থ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানায়। পুলিশের নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করছেন।

এদিকে রবিউলের মৃত্যুর খবরে রাত প্রায় ২ টার পরে থেকে উপজেলার মহেন্দ্রনগরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা।সড়ক অবরোধকারীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্যাতনকারী পুলিশকে দ্রুত আইনের আশ্রয়ে আনার দাবি জানান।

এসময় তারা পুলিশের একটি গাড়ি ও ভাংচুর করে। পরে ভোর চারটার দিকে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম অবরোধকারীদের তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, মেলায় জুয়া চলছে এমন খবরে পুলিশ অভিযান চালায় এবং দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার সময় একজন অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসার জন্য তাকে সরাসরি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক অসুস্থ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার্ড করে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মারা যায়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *