এস.বি-সুজন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটে প্রায় ১৫/২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। অনেকে বলছেন,শীতের শেষ মৌসুমে এমন শিলাবৃষ্টি তারা আগে দেখেননি।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) বিকেলের দিকে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে হটাৎ করেই বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলায় সোমবার সকাল থেকেই সারা দিন ছিল কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হওয়া। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এমন অবস্থায় বিকালে হঠাৎ আকাশে জড়ো হতে থাকে মেঘ। সেই সাথে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়।

প্রায় ১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে জেলা সদরের কুলাঘাট, বড়বাড়ী,পঞ্চগ্রাম। আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর, কমলাবাড়ি,পলাশী। ও কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী,চর বৌরাতীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষকের ক্ষেতের আলু,গম,ভুট্টা,রসুন, পেঁয়াজ ও আম গাছের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।

ক্ষতির বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন,আমার জীবনে এমন শিলাবৃষ্টি দেখিনি।
আলু, পেঁয়াজসহ তামাকের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই শিলাবৃষ্টিতে আমার ৩ বিঘা জমির ও আলুর ক্ষেত প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।

বড়বাড়ি ইউনিয়নের কৃষক সামসুর রহমান,আলী হোসেন,মকবুল মিয়া বলেন, আমরা জমিতে আলু লাগাইছি এই শিলাবৃষ্টিতে আলুর অনেক ক্ষতি হলো।
আবাদে যা খরচ হয়েছে সে খরচও এখন আমাদের উঠবে না।

আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন,বিকেলের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল। হঠাৎ দমকা হাওয়াসহ ঝড় বইতে থাকে। তারপরই শুরু হয় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও আদিতমারী,কালীগঞ্জ উপজেলাসহ অনেক স্থানে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, এ কাজে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারীগণ কৃষকদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটি তালিকা তৈরি করছেন।সেটি হলে ক্ষতির পরিমান জানা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *