বিশেষ প্রতিবেদন
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে বৃহত্তর উত্তরবঙ্গে। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছেন দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন বলেন, ভূরুঙ্গামারীতে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। আমাদের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার শীতবস্ত্র আসেনি। তিনি অনেকটা অভিযোগের সুরে বলেন- অন্যান্য বছরগুলোতে সরকার শীতে শুরেতই আমাদের কাছে শীতবস্ত্র পাঠিয়েছিলেন।
দিনের বেলায় গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় দিনমুজর শ্রেণির মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে কর্মহীন অলস সময় কাটছে তাদের।
অন্য দিকে এ অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিলেও কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় মাঠে যেতে পারছেন না কৃষকেরা। ফলে বোরো চাষ বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বাসিন্দা আবু সালে জানান, সকাল ১০ বাজে তবুও সূর্যের দেখা নেই। ঠাণ্ডায় বাঁচি না। গরম কাপড়ও নেই। এত ঠাণ্ডায় গাড়ি নিয়ে বের হতেই পারছি না।