বিশেষ প্রতিবেদনঃ
৩১মার্চ ২য় দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নগুলোতে জমে উঠেছে শেষ মূর্হুর্তের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা। জাতীয় নির্বাচনের মতো দলীয় প্রতিকের এ নির্বাচন সারা জাগিয়েছে দলীয় কর্মী ও ভোটারদের মাঝে। নিজ নিজ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরব ভোটাররা। এদিকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতিতে গণসংযোগে ব্যাস্ত প্রার্থীরা। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ছিটমহল জটিলতায় ৩টি ইউনিয়নে ভোট স্থগিত থাকলেও ৭টিতে চলছে ভোটের উৎসব। এ ৭টি ইউনিয়নে বড় ৩টি দলের ১জন করে ২১ জন প্রার্থী, ১৬ সতন্ত্র এবং ইসলামলামী আন্দোলোনের ৩ প্রার্থী মোট ৪০জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন । ৬টি ইউনিয়নে বড় তিনদলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে । সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদন্দিতা করছে ২৫৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এদিকে শেষ সময়ের প্রচারণায় মাঠে নেমেছে প্রার্থীরা। পোষ্টারে ছেয়ে গেছে হাটবাজার রাস্তা ঘাট। প্রচারণা চলছে সকাল থেকে রাত অব্দি। এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ, ভোটারদের মাঝে বইছে নির্বাচনী হাওয়া, ঝড় উঠেছে হাটে বাজারে চায়ের কাপে। এদিকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থণা করছে প্রার্থীরা। দলীয় প্রভাব প্রতিপত্তি সবই প্রয়োগ হচ্ছে কৌশল হিসেবে। তবে সাথারণ ভোটাররা প্রতিশ্রুতি বা দলীয় বিবেচনায় নয়, এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থাকবে যে, তাকেই ভোট দিবে এমন মন্তব্য অনেকের। এদিকে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে দ্বিধা ও শংকা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় বিবেচনা এবং ভোট খড়ায় থাকা ভোটাররা তাদেরকে নির্বাচিত করবে বলে মনে করছেন নেতারা। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার রিটারনিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূইয়া জানান, অবাধ, নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সচেষ্ট রয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তারা। আরমাত্র কয়েকদিন বাকী, ভোটযুদ্ধের অবসান ঘটবে ৩১ মার্চের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এখন শুধু জনগণের রায়ের অপেক্ষা।