শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি শ্লীলতাহানীর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক মকলেছুর রহমানের স্ত্রী দিলারা বেগম। তিনি জানান, একটি কু-চক্রি মহল তার স্বামীকে ফাঁসাতেই গত রোববার শৈলকুপায় থানায় শ্লীলতাহানীর একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেচুর রহমান রোববার সকালে স্কুলছাত্রীকে রোল নম্বর দেয়ার কথা বলে বাড়িতে যেতে বলে। স্কুলছাত্রী তার এক স্বজনকে সাথে নিয়ে সকাল ১১টার দিকে ওই শিক্ষকের বাড়ি সোনামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে গেলে শিক্ষক তার রুমে একা ডেকে নিয়ে অশোভন আচরণ শুরু করে বলে শৈলকুপা থানায় ১০ জুলাই ২০১৬ ইং তারিখের ১১ নং মামলায় উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়, জেএসসি পরীক্ষার আগেই ৮ম শ্রেনীর ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। যে কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ তার লেখাপড়া বন্ধ থাকে। ভর্তির সময় শেষ হওয়ার পরও ৯ম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষককে চাপ দিতে থাকে। এদিকে ভর্তির সময় অতিবাহিত হওয়ায় তাকে ভর্তি না করায় প্রধান শিক্ষকের সাথে ওই ছাত্রীর বাবার বাক বিতন্ডা হয় বলে জানা গেছে।
মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্থল সোনামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক ও বাড়ীর মালিক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রোববার সকালে তার বাড়ীতে কোন প্রকার অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি আমার ভাড়াটিয়া গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমানের বাড়িতে ওই ছাত্রী আসেনি।
প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, তাকে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে মামলার বাদী ছাত্রীর বাবা জীবন কুমার দাস জানান, রোববার সকালে গাড়াগঞ্জ সোনামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সামনে থেকে গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমানের সাথে তার জোর বাকবিতন্ডা হয়। পরে তারা সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আমরা পুলিশ প্রশাসনকে কিছুই জানায়নি। পুলিশই উপযাচক হয়ে আমাদের বাড়িতে এসে দরখাস্তের কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই ইকবাল হোসেন জানান, বাদী পক্ষ জীবন কুমার দাস সংখ্যালঘু হওয়ায় সামাজিক প্রতিবন্ধকতার ভয়ে থানায় আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। এ কারনে পুলিশ তার বাড়ীতে যেয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *