এ,এস,খোকন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)ঃ
আমরা মাছে ভাতে বাঙালী। অথচ দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ছোট ছোট মাছ।
এক সময় গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা খাল-বিল ও পুকুর ডোবায় চাষ করা হতো নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এসব ছোট মাছ মানবদেহের শতকরা ৭৮ ভাগ আমিষ পূরনের কাজ করত।
এখন আর নদী-নালা খাল বিল ও পুকুর ডোবায় ছোট মাছ চাষ করা হয় না। নদ নদীর পানি শুকিয়ে নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে, খাল বিল ও পুকুর ডোবার গভীরতা কমে গেছে। চলছে ডিমওয়ালা মাছ নিধন। মানছে না মৎস্য আইন। জলাশয় দুষণ, কীটনাশক প্রয়োগ, নিষিদ্ধ রাক্ষুসি মাছ চাষ প্রকৃতি থেকে ছোট মাছ বিলুপ্তির কারন ।
সরজমিনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে জানা গেছে, চিরচেনা টেংরা, পুটি, কৈ, মাগুর, শিং, চাপিলা, মলা, ঢেলা, টাকি, চিংড়ি, বাইন, পয়া, গছি, খলিসা, ভেটকি, গজার, পাবদা, আইরসহ বিভিন্ন প্রজাতরি ছোট মাছ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যায় ৫শ থেকে ৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। যা বর্তমানে উপজেলার নি”বিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এসব ছোট মাছ সংরক্ষনের ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, প্রচার-প্রচারনা, ছোট মাছ সম্পর্কে সমন্বিত উদ্যোগ, পুকুর ডোবায় কীটনাশকের ব্যবহার কমানো, ও জেলেদের ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধ ও মৎস্য আইন সম্পর্কে সচেতন করাতে পারলে হয়তো এসব ছোট মাছ আবারো পাওয়া যাবে।