01-07-16-1
এ এস খোকন, মফস্বল ডেস্কঃ
দেশের সম্ভাবনাময় সর্ববৃহৎ ও শতভাগ গ্র্যাজুয়েটরদের পেশাজীবি সংগঠন ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া) এর ঘোষিত ৫ দফা বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের সমর্থন চাইলেন সংগঠনটির জাতীয় তথা কেন্দ্রীয় নির্বাচিত সভাপতি বায়েজীদ হোসেন।
আজ শুক্রবার উপজেলা প্রেসকাব ভূরুঙ্গামারীতে জনকল্যানমুখী নাগরিক জোট ‘সুবাস’ আয়োজিত ইফতার পূর্বক এক আলোচনা সভায় সুবাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব বায়েজীদ হোসেন এ আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবাসের উপজেলা সভাপতি এমদাদুল হক মানু, যুগ্ম সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন আকুল, প্রভাষক আজিজুল হক প্রমুখ। ফার্মা বিপ্লবের মহানায়ক খ্যাত জাতীয় (কেন্দ্রীয়) ফারিয়ার সভাপতি ও ফার্মাজোট ‘বাফার্ম’ এর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এদেশের শিক্ষিত, মেধাবী ও তরুণ মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা, পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো একটি প্রতিযোগিতামুলক বাজার তৈরি করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে, বেকারত্ব দূরীকরনে, হতাশাগ্রস্থ, উচ্চ শিক্ষিত, স্মার্ট তরুন তরুনীদের কাছে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে। কিন্তু আশার প্রদীপের নীচে এ কেমন আঁধার! যেখানে একজন এম আর বা এমপিওকে সকাল সাতটা থেকে মধ্যরাত অবধি কাজ করতে হয়। মজার ব্যাপার হলো যে দেশে অষ্টম শ্রেণী পাশ এমএলএসএস এর সর্বনি¤œ মূল বেতন নির্ধারন করা হয় ৮২৫০/=, সেদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের বেসিক বা মূল বেতন ৫০০০/= টাকার উর্ধে নয়। ‘মে দিবস’ এ শ্রমিক অধিকার আদায়ের জন্য সুশীল সমাজ সভা সেমিনার করে এবং সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করে সেদিনও রিপ্রেজেন্টেটিভদের স্যুট-টাই পরে কাজে বের হতে হয় এবং ছুটির দিনগুলোতেও আরও বেশি মনিটরিং করা হয় যা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাই আমরা বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের নিবেদিত প্রাণ গচঙ, গজ, গওঙ, ঝচজ, ঝজ ফ্যাক্টরী ও মার্কেটিং এর সাথে সম্পৃক্ত, অবহেলিত, শিক্ষিত, মেধাবী এবং বিশেষ করে যন্ত্রমানব(গজ/গচঙ) দের দৈন্য দূর্দশা দুর করতে তথা বাংলাদেশের ফার্মা সেক্টরকে আরো গতিশীল করতে অনেকগুলো সমস্যা চিহ্নিত করে তন্মধ্যে চাকুরীর নিশ্চয়তা বিধান, বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক স্বীকৃতি সহ মৌলিক ৫ দফা পেশ করেছি ফার্মাসিউটিক্যাল ওনার‘স এসোসিয়েশন ও সরকারের কাছে। তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ অক্টোবর ও ১০ নভেম্বর দেশব্যাপী ৫ দফা দাবী আদায়ে সফল ও অহিংস মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয় এবং ইউএনও ও জেলা প্রশাসক মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর দু দফায় প্রায় সহ¯্রাধিক স্মারকলিপি পেশ করা হয়। যার কর্মসূচী সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ ফার্মা সংস্কারকের প্রস্তাবক ‘ফার্মাপেইন‘ শিরোনামে পত্রিকায় ধারাবাহিক উপসম্পাদকীয় কলাম লিখে ব্যাপক জনমত তৈরি করেন। ফলশ্রুতিতে দাবী আসে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের। অবশেষ গত ১৩ মে‘ ২০১৬ রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ফারিয়ার ১ম জাতীয় সম্মেলন ও নির্বাচন। নির্বাচনে ফার্মা বিপ্লবের সেই সফল কর্মসূচী সমন্বয়ক বায়েজীদকে সভাপতি, ৫ দফার রচয়িতা শফিক মাসুদকে সাধারন সম্পাদক এবং ঢাকা মেট্রো ফারিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এনায়েতুর রহিম মনিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে যাত্রা শুরু করে জাতীয় (কেন্দ্রীয়) ফারিয়া বাংলাদেশ। ফার্মা বিপ্লবের মহানায়ক খ্যাত এই শীর্ষ ফার্মা নেতা সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এ সময় ৫ দফা দাবি সংবলিত প্রচার পত্র বিলি করেন এবং ভেদাভেদ ভুলে মূলধারার সহযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় কমিটিকে সহযোগিতা করার আহবান জানান শাখা ফারিয়াগুলোকে। যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে ৫ দফা আদায়ে তথা সম্ভাবনাময় ফার্মা সেক্টরকে সংস্কার করতে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *