কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাস স্ট্যান্ড বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে থানা রোডটি বেহাল দশা। দীর্ঘ দিনের দাবীর মুখে পানি নিস্কাশনের জন্য কিছু সংস্কার করা হলেও তা আবারও জনদূর্ভোগে রুপ নিতে শুরু করেছে। কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় গেটের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। যার ফলে দুই থেকে তিন দিন কাদাময় রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারি সহ শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে দেখাগেছে বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে তকিপল বাজার যাওয়ার একমাত্র জনগুরুত্ব পূর্ণ রাস্তাটিতে কয়েক দফায় পানি নিস্কাশনের জন্য একটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছে যে ড্রেন দিয়ে পানি বাহির হতে না পারায় জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারন করে। সরকারের অর্থ কিভাবে অপচয় হয় এই রাস্তার ড্রেনটি না দেখলে তা বুঝা যাবে না। ড্রেন নির্মান করা হয়েছে অথচ ড্রেনের দু পাশ্বেই মুখ বন্ধ। ফলে রাস্তার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়।
জনসাধারন এ রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির সময় চলাচল করতে পারে না। অথচ এ রাস্তা দিয়ে সোনালী ব্যাংক, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, টিএন্ড টি অফিস,ব্র্যাক, গ্রামীন
ব্যাংক,আশা,আরডিআরএস অফিস, থানা, পোষ্ট অফিস, মহিলা কলেজ,বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ,কাউনিয়া হাই স্কুল,কাউনিয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়,কেন্দ্রী ঈদগা মাঠ, কাউনিয়া কলেজ ও তকিপল হাট দিয়ে শহীদবাগ হয়ে হারাগাছে যেতে হয়।
বালিকা বিদ্যালয় মোড় বাজারের ব্যবসায়ী জিয়ারুল ইসলাম, মানিক ময়িা, জাহিদ হাসান জানান অল্পবৃষ্টির ফলেই রাস্তায় পানি জমার কারনে ভারি যান বাহন চলার সময় দোকানে পানি প্রবেশ করে দোকানের অনেক ক্ষতি হয়। এছারাও গ্রাহক এই রাস্তাদিয়ে আসতে চায় না এবং তাদের ব্যবসা মন্দা যায়। এদিকে বালিকা বিদ্যালয় মোড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহ্ রাজু জানান বেশ কয়েকবার প্রকল্প নিলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার এ সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাটিতে এভাবে পানি জমে থাকলে কার্পেটিং উঠে গিয়ে রাস্তাটির অবস্থা আরো খারাপ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রস্তাটির দুই পাশে অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপনা করার কারনে পানি নিস্কাশনের সমস্যা হচ্ছে যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যাচ্ছে। ড্রেনের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান স্যারকে বলেছি। আশা করছি খুব দ্রুত টেন্ডার দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পানি দ্রুত নিস্কাশন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী সহ ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *