কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যুর ঘটনায় রাজারহাট থানা পুলিশ ঘাতক ছেলে আবদুল জলিলকে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন এর জনৈক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সেলিম বাজারে রবিবার ০৩ এপ্রিল প্রথম রোজার ইফতার শেষে নিজের ঘরে ছিলেন পয়ার উদ্দিন (৬৯)। হঠাৎ ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ওই ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে সরাসরি বাবার পেটে ছুরিকাঘাত করে ।

এ সময় স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় ছেলে জলিলের ছুরির আঘাতে মা জোলেখা বেগমও (৫৪) আহত হন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় ঘাতক ছেলে আব্দুল জলিল। পরে রাতেই পয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী জোলেখা বেগম ও গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।অভিযুক্ত জলিল দীর্ঘদিন ধরে বাবার কাছ থেকে নিজের নামে জমি লিখে দেওয়ার দাবি করে আসছিল। এরই জের ধরে বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে বলে জানা যায়। নিহত পয়ার উদ্দিনের স্ত্রী আহত জোলেখা বেগম বলেন, জলিল তিনটি বিয়ে করেছে। কোন বউ তার সংসার করে না। স্বভাবদোষে সে বিভিন্ন সময়ে তার জমির ভাগ চাইছিল। সে ভাগের জমি বিক্রি করে বউকে ফিরে আনবে এমন কথা বলে। তার বাবা জীবিত থাকতে জমির ভাগ দিতে অস্বীকার করে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল তার বাবার পেটে ছুরি মেরেছে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পয়ার উদ্দিনের মৃত্যুর আগে জোলেখা বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় তার ছেলে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখন সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। আসামী আব্দুল জলিলকেকে রাজারহাট থানা পুলিশের এস আই অনিল ও এস আই শরীফসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন এর খামারের জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গ্রেপ্তার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *